সার্বিয়ার ঘুমন্ত বাঘ জেগে উঠতে পারে। বসাতে পারে মরণ কামড়। ব্রাজিল তাই আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না। ভারসাম্যের কথা বলে ব্রাজিল কোচ তিতে ২৪ নভেম্বর রাতের ম্যাচে রক্ষণাত্মক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামতে পারেন।
সংবাদমাধ্যম মার্কা দাবি করেছে, ওই ভারসাম্যের কারণে একাদশের বাইরে থাকতে পারেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চলতি মৌসুমে ১০টি গোল করা ও পাঁচ গোলে সহায়তা দেওয়া ব্রাজিলের তরুণ তুর্কি ভিনিসিয়াস জুনিয়র। সেক্ষেত্রে পাকুয়েতাকে প্লে মেকিং পজিশনে রেখে দুই উইঙ্গে নেইমার ও রাফিনহা এবং স্ট্রাইকার পজিশনে তিনি খেলাতে পারেন রিচার্লিসনকে।
প্রশ্ন হলো, ইউরোপের মধ্যম পর্যায়ের দল সার্বিয়ার কোন জায়গায় ভয় ব্রাজিলের? দলটির শক্তি-দুর্বলতার দিকে তাকালে দুটি বিষয় চোখে পড়বে। একটি তাদের ফ্রন্ট থ্রি। চলতি বিশ্বকাপে চমক দিতে পারে এমন দলগুলোর মধ্যে সেরা ফ্রন্ট থ্রি তাদের। যে ফ্রন্ট থ্রি আসরের ফেবারিট ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স বা ইংল্যান্ডের চেয়ে পিছিয়ে নেই।
তাদের আছেন জুভেন্টাসের জার্সিতে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা স্ট্রাইকার ডুসন ভিলাহোভিক। যিনি জুভদের হয়ে ৩৬ ম্যাচে ১৬ গোল করেছেন। সার্বিয়ার হয়ে ১৭ ম্যাচে ৯ গোল তার। ছন্দে আছেন জুভেন্টাসে খেলা আরেক ফরোয়ার্ড কস্টিক। ফুলহ্যামে খেলা স্ট্রাইকার মিত্রোকভিক ১৬৯ ম্যাচে ৯৩ গোল করেছেন। দেশের জার্সিতে করেছেন ৫০ গোল।
দলটির শক্তির অন্য একটি জায়গা হলো উচ্চতা। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে গড়ে সবচেয়ে লম্বা খেলোয়াড় সার্বিয়ার। মাত্র একজন ফুল ব্যাক আছেন ছয় ফুটের নিচে। বাকিদের উচ্চতা অন্তত ছয় ফুট বা ছয় ফুট চার। ছয় ফুট আট ইঞ্চি উচ্চতার খেলোয়াড়ও আছে। এরিয়াল বলের লড়াইয়ে তারা বেশ এগিয়ে থাকবে। শারীরিক ফুটবলেও ব্রাজিলের জন্য কঠিন হবে তাদের সঙ্গে পেরে ওঠা।
ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে যদি ব্রাজিল কোচ তিতে বেঞ্চে রাখেন সেক্ষেত্রে একজন সেন্ট্রাল বা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বেশি নিয়ে খেলবে ব্রাজিল। তিতের ৪-৩-৩ ফরমেশনে কাসেমিরোর সঙ্গে ফ্রেড বা ব্রুনো গিমারেস শুরুর একাদশে জায়গা পেতে পারেন। ফর্মের বিবেচনায় এগিয়ে থাকবেন নিউক্যাসলে দুর্দান্ত ফুটবল খেলা তরুণ মিডফিল্ডার গিমারেজ।