সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রযুক্তি হল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই। প্রতিনিয়ত এর বিস্তৃতি এতই বেড়েই চলছে যা নিয়ে সম্ভাবনা এবং আশঙ্কা উভয়ই তৈরি হচ্ছে। একদিকে এআই ব্যবহার করে কঠিন কাজগুলো সহজেই করা যাচ্ছে আবার সেই একই প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে তারকাদের আপত্তিকর ভিডিও থেকে শুরু করে নানা নেতিবাচক কাজে।গত বছর ভারতের বেশ কয়েকজন তারকার ডিপফেক ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি মৃত দুই শিল্পীর কণ্ঠ দিয়ে তৈরি করে গানও প্রকাশ করেছেন এআর রাহমান! এসব নিয়ে আতঙ্কিত অন্য তারকারাও। সকলেরই দাবি, এআই প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণের চাবি এখনই হাতে নেওয়া জরুরি।
বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বললেন বলিউড অভিনেত্রী কৃতি স্যানন। তার সঙ্গে প্রযুক্তি কিংবা এআই-য়ের একটা গভীর সম্পর্ক আছে। কেননা নতুন সিনেমায় তিনি একজন রোবটের ভূমিকায় আছেন। যেটার নাম তেরি বাতো মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া’। ছবিতে তিনি একজন রোবট হলেও তার প্রেমে পড়ে যায় বিজ্ঞানী শহিদ কাপুর। এরপর নানা হাস্যরসে এগিয়েছে গল্প।
এআই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়া টুডের কাছে কৃতি স্যানন বলেন, ‘এটা উদ্বেগজনক। বেশ কয়েকটি ডিপফেক ভিডিও ইতোমধ্যে সামনে এসেছে। কিন্তু এআই দিয়ে তৈরি করা সংবাদ পাঠকও আছে, যেটার মানে আমরা সামনের দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছি। সুতরাং এটাও সম্ভব যে, সামনে এআই সঙ্গীও পাওয়া যাবে।’
একই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন শহিদ কাপুরও। তিনি অবশ্য দায় চাপালেন মানুষেরই ওপর। তার ভাষ্যমতে, ‘এটা মানুষই শুরু করেছে। এই প্রযুক্তি মানুষই পৃথিবীতে এনেছে। এখন আমরা এআই-য়ের ওপর দোষ চাপাচ্ছি। আমরা আসলে বাস্তবে বাঁচতে অভ্যস্ত নই। সবসময় সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন জিনিস আমরা শেয়ার করি, যেটা আসলে বাস্তবের সঙ্গে মিল নেই। আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখি, সেটার সঙ্গে বাস্তবতার তুলনা করে হতাশায় পড়ি। এটাই সত্য। আমরা এখন নতুন, বিকল্প এক বাস্তবতার দিকে যাচ্ছি। সেটাই এআই; এবং এটা আমাদের সম্পর্কের মতই জরুরি। কিন্তু মানুষের তৈরি আর সৃষ্টিকর্তার তৈরির মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। সেটাই আমাদের ছবিতে খুব সূক্ষ্মভাবে দেখানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, তেরি মাতো মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া’ ছবিটি নির্মাণ করেছেন অমিত জোশী ও আরাধ্যনা শাহ। ছবিতে শহিদ কাপুর ও কৃতি স্যাননের সঙ্গে আছেন ডিম্পল কাপাডিয়া, ধর্মেন্দ্র, রাকেশ বেদি প্রমুখ। ৪০ কোটি রুপি বাজেটের ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি।