বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭২ সালে এদেশের মানুষ যে সংবিধান রচনা করেছিলেন, সেটাকে বারবার কাটাছেঁড়া করে অকার্যকর একটা সংবিধানে পরিণত করেছে সরকার। তারা যখনই সুযোগ পেয়েছে সংবিধানকে ধ্বংস করেছে।
শুক্রবার (১০ মার্চ) সকালে সিলেট মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বার্থে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে ফেলেছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ধ্বংস করেছে, শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অপকীর্তি বলে শেষ করা যাবে না। তাদের একটাও ভালো কাজ নেই, তারা এই দেশের সমাজকে পুরোপুরি বিভক্ত করে ফেলেছে এবং একটা দূষিত সমাজে পরিণত করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ধ্বংস করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা রাজনৈতিক দল ও পত্র-পত্রিকা নিষিদ্ধ করেছিল। যখনই তারা সুযোগ পেয়েছে ক্ষমতায় আসার, তখনই তারা সংবিধানকে ধ্বংস করেছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে, সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করেছে।
তিনি বলেন, এই সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে ফেলেছে। অর্থনীতিকে তারা এমনভাবে ধ্বংস করেছে যে এটাকে টেনে তোলা অত্যন্ত কঠিন। শুধু নিজেদের স্বার্থে, দুর্নীতির স্বার্থে আজ তারা দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যে সরকার আমাদের সমস্ত অর্জন কেড়ে নিয়েছে, তাদের যেকোনো উপায়ে পরাজিত করতে হবে। তাদেরকে বিতাড়িত করতে হবে। দেশে পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম এ জাহিদ, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, এনামুল হক চৌধুরী, সিসিক মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সিলেট মহানগরের ২৭টি ওয়ার্ডের ১ হাজার ৯১৭ জন কাউন্সিলর সরাসরি ভোটের মাধ্যমে মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। মহানগরের নেতৃত্বে আসতে সম্মেলনে তিন পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।