সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের লাগামহীন লুটপাট আর দুঃশাসনে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ। নিশিরাতের সরকার দেশ পরিচালনায় পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এখন নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে তারা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। কারণ তারা জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়। সরকার সবসময় বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের আতঙ্কে থাকে। কারণ তারা দেশে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার সুযোগ পেলে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকবে না। তাই দীর্ঘ দিন থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহন্তরিন করে রেখেছে, তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জোবায়দা রহমানকে দেশে ফিরতে দিচ্ছে না। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলকভাবে এখন নিজেদের আজ্ঞাবহ আদালতকে দিয়ে সম্পদ বাজেয়াপ্তের নাটক মঞ্চস্থ করেছে। কোনো ষড়যন্ত্রেই এদেশের মানুষের অন্তর থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারের প্রতি ভালোবাসাকে বিনষ্ট করা যাবে না। অবিলম্বে এসব অপকর্ম বন্ধ না করলে তার জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।
রোববার (৮ জানুয়ারি) বেলা দেড়টার দিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী জুবাইদা রহমানের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের প্রতিবাদে সিলেট জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি আরও বলেন, বিএনপি প্রহসনের নির্বাচনে যাবে না। নেতাকর্মীরা নিজের জীবন দিয়ে হলেও নির্বাচন প্রতিহত করবে। আর দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ বিএনপিকেই রাষ্ট্র পরিচালনা করার দায়িত্ব দেবে। তাই দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে এই জালিম সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
মিছিলটি সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনার থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কোর্ট পয়েন্টে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।
এসময় সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক। তারেক রহমানের সম্পত্তি মানে সারা বাংলাদেশ। সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বিএনপির আন্দোলন থামানো যাবে না। আওয়ামী লীগের মুখে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা মানায় না। ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে বিএনপির আন্দোলন চলবেই। এদেশে আর দিনের ভোট রাতে হতে দেয়া হবে না। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় আর বেশি বাকি নেই। ইনশাআল্লাহ অচিরেই দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, ইকবাল বাহার চৌধুরী, অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, আব্দুল আহাদ খান জামাল, আজির উদ্দিন চেয়ারম্যান, একেএম তারেক কালাম, শহীদ আহমদ চেয়ারম্যান, শাহাব উদ্দিন আহমদ, আবুল কাশেম, মাহবুব আলম, কোহিনূর আহমদ, আজিজুর রহমান আজিজ, আলী আকবর, তাজরুল ইসলাম তাজুল, শাকিল মোর্শেদ, মকসুদ আহমদ, আলতাফ হোসেন সুমন প্রমুখ।