মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের সেলিনা বেগম (২০) স্বামীর বিরুদ্ধে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনসহ সদ্যজাত শিশু সন্তানের পিতৃপরিচয়ে অস্বীকৃতির অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের টাট্রিউলী গ্রামের বাসিন্দ সেলিনার সঙ্গে ২০২১ সালের নভেম্বরে একই গ্রামের মৃত আহমদ মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন জাকারিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সেলিনার স্বামী, শাশুড়ি ও দেবর মিলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র কওে সেলিনাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নিযার্তন করতেন।
এ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে গৃহবধু সেলিনার স্বামী জাকারিয়া। ক্ষিপ্ত হয়ে জাকারিয়া গত ৪ জুন সেলিনার বাবার বাড়িতে গিয়ে সেলিনার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় সেলিনা মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পান। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত ডাক্তার।
জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল (ওসিসি) এর মাধ্যমে আইনি সহায়তার জন্য জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজারের সিনিয়র সহকারী জজ কুলাউড়া থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
সেলিনা বেগম জানান, বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির নিযার্তন সহ্য করতে না পেরে ২ মাসের গর্ভাবস্থায় তিনি তার বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে গত ৩০ মে মাস তার একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কোলের সন্তানকেও এখন অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন আমার স্বামী জাকারিয়া। অভিযুক্ত স্বামী রুহুল আমীন জাকারিয়া জানান, স্ত্রীর করা সব অভিযোগ মিথ্যা। স্ত্রীর বাড়ি থেকে উল্টো তিনি নিজে নির্যাতনের স্বীকার বলে জানান।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনাচার্জ মো. আব্দুছ ছালেক জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।