সিলেটের সকল পাথর কোয়ারি সনাতন পদ্ধতিতে খুলে দেওয়াসহ রাস্তা-ঘাট ও শিক্ষা, চিকিৎসা সকল স্তরে উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করেছেন সিলেট-৪ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে সিলেট-৪ আসনের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর উপজেলায় প্রচার উন্নয়ন হয়েছে। আপনাদের চলাচলের বড় বড় সড়ক থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জের গ্রামীণ রাস্তা, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল সকল স্থানে প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। জাফলং থেকে সাদা পাথর নতুন সীমান্ত সড়ক, আমবাড়ি ও শাহ আরফিন সড়ক সহ আরও কিছু উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। এসব উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তি ও সনাতন পদ্ধতিতে পাথর কোয়ারি খুলতে ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট বেশি দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় কোম্পানীগঞ্জ মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হাজারো নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজাদের সভাপতিত্বে নির্বাচনী জনসভায় পাথর কোয়ারি বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পাথর কোয়ারি খোলা বা বন্ধ করা আমার কাজ নয়। পাথর কোয়ারির বিষয়টি দেখেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। পরিবেশের সমস্যার কারণে পাথর কোয়ারি বন্ধ হয়েছে। তবে আমি চেষ্টা করেছি সনাতন পদ্ধতিতে পাথর কোয়ারি খুলতে। সর্বশেষ আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও আমি অনুরোধ করেছি আমার এলাকার জনসাধারণের জন্য পাথর কোয়ারি খুলে দিতে। পাথর কোয়ারি খুলতে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে এ নিয়ে আপনাদের আর কথা বলতে হবে না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত হয়। তাই বিএনপির অযুক্তিক আন্দোলনে সাড়া না দিয়ে ৭ জানুয়ারি সকাল থেকে বাড়ি-ঘর ও আশপাশের মা-বোনদের নিয়ে যুবক থেকে বৃদ্ধ সকলকেই দলদলে ঝাঁকেঝাঁকে ভোট কেন্দ্রে এসে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।
এর আগে দুপুর দেড়টা থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা ব্যানার, পোস্টার, ঢোল-বাঁশিসহ নানা ধরনের বাদ্যের যন্ত্রের সঙ্গে নেচে গেয়ে স্লোগান নিয়ে দলে দলে মিছিল সহকারে জনসভায় অংশগ্রহণ করে।
সভায় প্রধানবক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. মাহফুজুর রহমান।
এসময় বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আজমল আলী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মজির উদ্দিন, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফতাব আলী কালা মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ, গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাপ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ আলফু মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াকুব আলী, অকিল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট শাহজাহান চৌধুরী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলা উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিহাদ আলী, ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া, উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান, দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ইমাদ, উপজেলার ৬ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতিবৃন্দসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের দায়িত্বশীল নেতারা।