গত জুলাই মাসে সিলেট জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কোনো রোগী হাসপাতালে ভর্তি হননি। জুলাইয়ের শেষ দিন রোববার (৩১ জুলাই) পর্যন্ত সিলেটে ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনো রোগীকে ভর্তি হতে দেখা যায়নি। সোমবার (১ আগস্ট) সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সহকারী সিভিল সার্জন জন্মেজয় দত্ত সিলেট ভয়েসকে জানান, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোনো রোগী হাসপাতালে ভর্তি হননি।
তিনি জানান, সিলেট জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে কোনো ডেঙ্গু রোগী ভর্তি নেই।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৪ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সিলেটের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের সবাই ঢাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সিলেটের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সব মিলিয়ে গত ৭ মাসে সিলেট জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৪।
তবে এটা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা। এর বাইরে যে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন না বা রোগী নেই, তা নয়। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটের কয়েকটি এলাকায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, সিলেটের ২৫ এবং ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকটি এলাকায় এডিস মশার জীবাণু পাওয়া গেছে। ভার্থখলা, রেলওয়ে স্টেশন ও বাসস্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে লার্ভা শনাক্তের লক্ষ্যে স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছিল।
সেসব এলাকায় এডিস মশার জীবাণু পাওয়ার দু’টি কারণ জানিয়েছেন সিলেটের সহকারী সিভিল সার্জন জন্মেজয় দত্ত। প্রথম কারণ হিসেবে তিনি জানান, ওই এলাকায় অনেকগুলো টায়ারের দোকান আছে। টায়ারে জমে থাকা পানির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। কেননা এডিস মশার জীবাণু চলমান পানির চাইতে জমে থাকা পানিতেই বেশি পাওয়া যায়। আর দ্বিতীয় কারণ হিসেবে ওই এলাকার মানুষের অসচেতনতাকে দায়ী করেছেন তিনি।
এডিস মশার জীবাণু শনাক্ত করার পর কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে সে বিষয়ে জানতে চাইলে জন্মেজয় দত্ত বলেন, সার্ভে করার পর সার্ভে রিপোর্ট আমরা সিটি করপোরেশনকে দিয়ে থাকি। মশক নিধনে সিটি করপোরেশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।