সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের দোস্তপুর গ্রামে একটি সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়ির অংশ দখলের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, দরিদ্র ওই পরিবারের বসতভিটার সামনের অংশ দখল করে নিয়েছেন একই এলাকার প্রভাবশালী দুলাল মিয়া ও তার লোকজন।
বাড়ির মালিক সুনীল চন্দ্র দেবনাথ এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে দুলাল মিয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগপত্রে সুনীল চন্দ্র দেবনাথ লিখেছেন, ‘১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা পূর্বপুরুষদের ভিটায় বসবাস করে আসছি। আমাদের বাড়ির সামনে সরকারি খাল রয়েছে। সেই খালে দুলাল মিয়া একটি ভবন নির্মাণ করেন। এখন দুলাল মিয়া আমাদের বাড়ির সামনের সরকারি খাল দখল করে আমাদের চলচলের রাস্তা বন্ধ করে দিতে চান। গতকাল শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে প্রতিবেশী দুলাল মিয়া আমাদের বাড়ির সামনের সরকারি খাল দখল করতে আসেন এবং আমাদের লাগানো ২০/২৫টি গাছ উপড়ে ফেলে দেন। এছাড়া তিনি নানাভাবে আমাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছেন।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত দুলাল মিয়া বলেন, আমি কোনো নির্যাতন করিনি। আমার নামে আগে থেকে এই জায়গা লিজ ছিল। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা।
দুলাল মিয়ার দাবির প্রেক্ষিতে সুনীল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, দুলাল প্রতিনিয়ত আমাদের মতো নিরীহ মানুষের নির্যাতন করছেন। আমাদের বাড়ির সামনের সরকারি খাল দখল করতে চান তিনি। তিনি বলছেন এই জায়গা না কি লিজ নিয়েছেন। কিন্তু অফিসে গিয়ে খবর নিয়ে দেখি তিনি কোনো লিজ নেননি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল বলেন, দুলাল মিয়া নিরীহ মানুষের ওপর অযথা নির্যাতন করেন। ওই জায়গাটি সরকারি খাল।
উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের অফিস সহকারী মিজান মিয়া বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ এসেছে। সেটা স্যারের টেবিলে আছে।