সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশের সকল রাজনৈতিক দলের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও এই নির্বাচন কমিশন ১৫০টি আসনে ইভিএমএ ভোট করতে চাচ্ছে। এই ইভিএম সম্পর্কে দেশের বিখ্যাত প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ প্রয়াত অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেছিলেন ইভিএম একটি নিম্ন মানের যন্ত্র। যাহা দিয়ে ভোট প্রয়োগের নিরপেক্ষতা যাচাইয়ের কোন ব্যবস্থা নেই। দেশের মানুষ যখন প্রচলিত পদ্ধতিতে নিজের হাতে ভোট দেয়ার অধিকার পায় না সেখানে ইভিএমের মাধ্যমে মেশিনের মাধ্যমে কিভাবে ভোট নিশ্চিত হবে। বিগত নির্বাচন গুলোতে আওয়ামী লীগ একবার বিনাভোটে হয়েছে, একবার দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করে হয়েছে। এইবার ইভিএমের মাধ্যমে ভোট চুরি করতে চায়। এই কমিশন বর্তমান সরকারের আনুকূল্যে, নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের দালাল হিসেবে কাজ করছে। তাই এই নির্বাচন কমিশনের অধিনে এবং ভোট ডাকাতির ইভিএম মেশিনে দেশে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এ ধরনের যড়যন্ত্রের নির্বাচন দেশবাসী প্রতিহত করবে।’
শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গোলাপগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি নোমান উদ্দিন মুরাদের সভাপতিত্বে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিএনপি নেতা ফয়সল আহমদ চৌধুরী ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে পদত্যাগ করুন। একদলীয় নির্বাচন অনেক হয়েছে। এদেশের জনগণ আর মেনে নিবে না। একদলীয় ভাবে দেশ শাসন করে জনগণের অর্থ লুটেপুটে খেয়েছেন। এবার হিসাব দিতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। এদেশের মালিক জনগণ। জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। জনগণের অধিকার আদায়ের বিএনপি রাজপথে থাকবে। এখন এক দফা এক দাবি এই সরকারের পদত্যাগ এর মাধ্যমে জনগণের বিজয় নিশ্চিত করে বিএনপির ঘরে ফিরবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা ফয়সল আহমদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব।
এসময় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি মশিকুর রহমান মহি, গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ফয়ছল, সহসভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আশফাক আহমেদ চৌধুরী,আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রশিদ মামুন, সহ সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, কিবরিয়া ইসলাম, কফিল আহমদ, গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপির সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব,সহ সভাপতি সৈয়দ মাসুদ মিল্লু, সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল মাষ্টার, সহ-সভাপতি আজমল হোসেন, সহ-সভাপতি মুক্তার আহমদ, সহ-সভাপতি ফটিক আহমদ, সহ-সভাপতি রাসেল আহমদ, সাবেক সভাপতি ছালিক আহমদ চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সদস্য মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক এডভোকেট মামুন আহমদ রিপন, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজান আহমদ, ছাত্রদলের আহ্বায়ক তাজিম আহমদ, সদস্য বাবুল আহমদ, গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপি সহ সাধারণ সম্পাদক ও ৮ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন ইমানি, পৌর বিএনপি সহ সাধারণ সম্পাদক ও ৭ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মনজুর আহমদ, পৌর বিএনপি প্রচার তাজুল ইসলাম তাজ, পৌর কৃষক দলের আহ্বায়ক অলিউর রহমান, পৌর বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল হাসান, পৌর বিএনপি সহ সেচ্ছা বিষয়ক সম্পাদক মো. জুনায়েদ আহমেদ ৭ নং ওয়ার্ড, পৌর বিএনপি সহ সমাজ সেবা সম্পাদক রেজওয়ান আহমদ, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুল মুরছালিন, পৌর বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জসীম উদ্দিন, পৌর বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক ও পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল আহমদ, পৌর বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও পৌর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ আহমদ, পৌর বিএনপির বিশেষ সম্পাদক রাসেল আহমদ গাজী, পৌর বিএনপির সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রুহুল আমিন, পৌর বিএনপির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক বাচ্চু আহমদ, রাসেল মিয়া, ১নং ওয়ার্ড বিএনপি মতিউর রহমান, ২ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি জয়নুল ইসলাম ,৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি শফিউল আলম প্রমুখ।