একপেশে ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেমির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে শ্রীলঙ্কা। অপর দিকে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের সেমিফাইনালের স্বপ্ন কার্যত শেষ।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৩.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তোলে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান এসেছে স্টোকসের ব্যাট থেকে। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩৫ রানে ৩ উইকেট শিকার করে সেরা বোলার লাহিরু কুমারা।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি লঙ্কানদের। ৪ রান করে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন কুশল পেরেরা। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি কুশল মেন্ডিস। এই ইনফর্ম ব্যাটার সাজঘরে ফিরেছেন ১১ রান করে। ২৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা হলেও চাপে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা।
তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাদিরা সামারাবিক্রমা ও পাথুম নিশাঙ্কার ব্যাটে ঘুরে দাড়ায় শ্রীলঙ্কা। দুজনই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত দুজনের অবিচ্ছিন্ন ১৩৭ রানের জুটি দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যায়। নিশাঙ্কা অপরাজিত থেকেছেন ৭৭ রান করে। আর সামারাবিক্রমা ৬৫ রান করে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন।
এর আগে লঙ্কান বোলারদের সামনে বাজে ব্যাটিং প্রদর্শনী করলেন ইংলিশ ব্যাটাররা। দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান দেখে-শুনে শুরু করেছিলেন। সপ্তম ওভারে ২৮ রান করা মালানকে সাজঘরে ফিরিয়ে ৪৫ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তিনে নেমে রান আউটে কাটা পড়েছেন জো রুট। ইনফর্ম এই ব্যাটার এদিন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই ফিরেছেন।
বেয়ারস্টো উইকেটে থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ রান। এরপর জস বাটলার, লিয়াম লিভিংস্টোনদের কেউই সুবিধা করত পারেননি। তাদের আসা-যাওয়ার মধ্যেও এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন স্টোকস। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার ৪৩ রানে ফিরলে ইংল্যান্ড থামে ১৫৬ রানে।
যা বিশ্বকপে লঙ্কানদের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সর্বনিম্ন স্কোর! চেন্নাইয়ের চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামেও এর আগে এত কম রানে অলআউট হয়নি কোনও দল।
৩৫ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন লাহিরু কুমারা। যিনি গত ম্যাচ পর একাদশে ফিরেছেন। দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ম্যাথিউজ ও কাসুন রাজিথাও।