চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩ শত টাকা বৃদ্ধির দাবিতে সারাদেশের চা বাগানে ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করছেন চা শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকাল ৯ টা থেকে ১১টা দুইঘন্টার এই কর্মবিরতিতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ৪২ টি চা বাগানসহ সারাদেশে চা বাগানে এই কর্মবিরতি হয়।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালীর সভাপতি বিজয় হাজরা বলেন, বর্তমান সময়ে বাজার দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারণে আমাদের চা-শ্রমিকরা দৈনিক ১২০ টাকা মজুরি দিয়ে অনেক কষ্টে দিনযাপন করছেন। প্রতিটি পরিবারে খরচ বেড়েছে। আমরা বারবার বাগান মালিকদের সাথে বৈঠক করছি। কিন্তু তারা বারবার টালবাহানা করে মজুরি বৃদ্ধি করছেন না। এতে করে শ্রমিকরা ভিতরে ভিতরে ক্ষোভে ফেপে উঠছেন। দেশ-বিদেশে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি বিবেচনা করে নুন্যতম মানবাধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার দিতে হবে। চা শ্রমিকের হাজিরা ১২০ টাকা থেকে ৩শ টাকায় বৃদ্ধি করার দাবি অনেক দিনের। মালিকপক্ষ ইতিমধ্যে ১৪ টাকা বর্ধিত করার প্রস্তাব দিয়েছে। ১৪ টাকা বৃদ্ধি হলে একজন শ্রমিকের মজুরী হবে ১৩৪ টাকা। এই ১৩৪ টাকা দিয়ে কীভাবে একজন শ্রমিকের জীবন চলবে? সারাদিন পরিশ্রম করে এক লিটার পেট্রোলের দামও হবে না।
তিনি আরো বলেন, আমাদের চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাগান মালিকদের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী মজুরী বৃদ্ধি করার কথা থাকলেও মালিকরা চুক্তি ভঙ্গ করছেন। চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘদিনের। প্রতি বছর মজুরি বাড়ানোর কথা থাকলেও গত ৩ বছর ধরে মজুরি বাড়ানো হচ্ছে না। ৩ দিনের মধ্যে তাদের দাবি না মানা হলে দেশের সব বাগান একসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হবে। এবং রাজপথে এসে দাড়াবেন তাঁরা। এবং বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দিবেন। তাঁদের এই নায্য দাবি মালিক পক্ষ ‘বাংলাদেশ চা সংসদ’ না মানলে কঠোর আন্দোলন ও রাজপথে নামার হুশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।