মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও শ্রীমঙ্গল আইডিয়াল স্কুলের অধ্যক্ষ সাংবাদিক মো. এহসানুল হক (এহসান বিন মুজাহির) ভবিষ্যতে জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৫টায় সংবাদ সংগ্রহের জন্য তিনি নিজের মোটরসাইকেল করে শহরের কালিঘাট রোড থেকে ৪ নম্বর সিন্দুরখান ইউনিয়নের সাইটুলা গ্রামে যাবার পথে অজ্ঞাতনামা এক যুবক মৌলভীবাজার-হ-১৩-৬৯০৯ নম্বর প্লেইটযুক্ত মোটরসাইকেল নিয়ে তাকে পেছন দিক থেকে তাড়া করে প্রাণনাশের হুমকি দেন। একপর্যায়ে ৮নম্বর কালিঘাট ইউনিয়নের কালিঘাট চা বাগানের রাস্তায় তার উপর হামলার চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। এ সময় সাংবাদিক এহসান বিন মুজাহির চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। এ অবস্থায় ওই অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত তার মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুতগতিতে কালিঘাট চা বাগানের দক্ষিণ দিকের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় এহসান বিন মুজাহির চরম আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
সাংবাদিক ও শ্রীমঙ্গল আইডিয়াল স্কুলের অধ্যক্ষ এহসান বিন মুজাহির প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, গতকাল নিউজ সংগ্রহকালে কালিঘাট চা-বাগান এলাকায় অজ্ঞাত এক দুর্বৃত্তের হামলা চেষ্টায় আমি জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। কারণ বাসা থেকে প্রতিনিয়ত আমার কর্মস্থল শ্রীমঙ্গল আইডিয়াল স্কুলে আসা-যাওয়া করতে হয়। আবার গণমাধ্যমের কর্মরত থাকার কারণেও জেলার বিভিন্ন স্থানে সংবাদ সংগ্রহের জন্য যেতে হয়। যেকোনো স্থানে যাতায়াতের পথে সময়-সুযোগমতো একা পেলে দুর্বৃত্তরা আক্রমণ করে মারপিট ও খুন-জখম করতে পারে বলেও আশঙ্কা করছি। তাই জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগে উল্লেখিত মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন কার নামে তা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) মৌলভীবাজার থেকে আবেদন করে বের করে অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
এর আগে ২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট রাতে এহসান বিন মুজাহিরের মুসলিমবাগ আবাসিক এলাকাস্থ বাসার মূল গেইটে বাইরে থেকে কে বা কারা তালা মেরে চলে যায়। এ অবস্থায় তার পুরো পরিবার বাসায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে তিনি শহর থেকে বাসায় গিয়ে হাতুড়ি দিয়ে তালা ভেঙ্গে বাসায় প্রবেশ করেন। এ ঘটনায় এহসান বিন মুজাহির তৎকালীন সময়ে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সেসময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করেন। এরপর পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে
কয়েকজন মাদকসেবী ও বখাটেকে আটক করে কারাগারে পাঠায়।