শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানের সাথে নির্ধারিত ৫০ ওভারের খেলা টাই করে বাংলাদেশের মেয়েরা। নিয়মানুযায়ী ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারে পাকিস্তানের দেয়া ৮ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরলো জ্যোতিরা।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ৪৯ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানেই থামে পাকিস্তান।
ইনিংসের শুরুতে দুই ওপেনার ফারজানা হক-মুর্শিদা খাতুনের ব্যাটে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। হাফ সেঞ্চুরি পেতে পারতেন মুর্শিদা। তবে ৪০ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন এই ওপেনার। তিনে নেমে উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি সুবহানা। এই টপ অর্ডার ব্যাটার ফিরেছেন ১৬ রান করে। শেষ পর্যন্ত জ্যোতির ৫৪ রানের ইনিংসে ভর করে লড়াই করার পুঁজি পায় বাংলদেশ।
জবাবে ১৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় পাকিস্তান। আদাফ শামসের ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ রান। আরেক ওপেনার সিধরা আমিন করেছেন ২২ রান। নিধা-ইরামরাও চেষ্টা করেছেন তবে কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। আর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে সবসময়ই ম্যাচে ছিল বাংলাদেশ।
শেষ ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩ রান। পাকিস্তানের হাতে ছিল এক উইকেট। এমন সমীকরণে লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুনের ওপর আস্থা রাখেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। প্রথম বলে কোনো রান নিতে পারেন নি পাকিস্তানি ব্যাটাররা। দ্বিতীয় বলে নেন এক রান। এক বল ডট দিয়ে আবারও এক রান নেয় পাকিস্তান। শেষ ২ বলে যখন ১ রান প্রয়োজন তখন রান আউটে কাটা পড়েন শেষ ব্যাটার নাশারা সান্ধু। ফলে ম্যাচটি টাই হয় এবং সুপার ওভারে গড়ায়।
সুপার ওভারে শুরুতে ব্যাট করে পাকিস্তানের মেয়েরা। নাহিদার করা ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৭ রান তোলে তারা।
৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাউন্ডারি দিয়ে শুরু করেন বাংলাদেশের সুবহানা মুস্তারি। কিন্তু পঞ্চম বলে তিনি আউট হওয়ার পর শেষ বলে বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ২ রান। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক জ্যোতি।
