সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ১লা আগস্ট শোকবহ আগস্ট মাস শুরু হবে। আগস্ট মাস আসলেই আতঙ্ক কাজ করে। কারণ অপশক্তিরা জেগে ওঠে। তারা নানান ষড়যন্ত্র শুরু করে। তাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখতে হবে। অপশক্তিকে রুখতে শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। কোনোভাবেই বাংলার মাটিতে এদের স্থান হতে পারে না।
তিনি বলেন, সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে এগিয়ে নিতে হবে। মহানগর আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। এই ঐক্যবদ্ধতা ধরে রাখতে হবে। তবে যারা সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রোববার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তালতলাস্থ গুলশান হোটেলের ৩য় তলার হলরুমে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন তাঁর বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ঘোষিত সকল কর্মসূচিতে আরো ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে দেশব্যাপী অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে আরো বেশী সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনের পরিচালনায় সাধারণ সভায় শোকাবহ ১৫ আগস্ট সহ আগস্ট মাসের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে- ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ৫ আগস্ট শহীদ শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৭ আগস্ট গুলশান গ্রেনেড হামলা, ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা, ২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টায় গ্রেনেড হামলা ও ২৪ আগস্ট আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী।
তাছাড়া বিভিন্ন সাংগঠনিক বিষয়সহ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং যারা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নেতৃবৃন্দ সম্মতি জ্ঞাপন করেন।
সভায় আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্টজনদের জন্য শোক প্রস্তাব আনা হয় এবং দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়। তারা হলেন -বিশিষ্ট আলেম মাওলানা মুফতি মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি হুজুর, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, এডভোকেট বেলাল উদ্দিন, কুনু মিয়া, কয়ছর আহমদ, আব্দুল আউয়াল, সুজাউল ইসলাম সুজা, হাফিজুর রহমান পংকি, কমরেড ধীরেণ সিংহ, আকমল হোসেন, শমশের আলম খালিক, অজয় পাল ও নীনা চৌধুরী।
একসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, নুরুল ইসলাম পুতুল, এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, মো. সানাওর, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মখলিছুর রহমান কামরান, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন লোকমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আসমা বেগম, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ হোসেন রবিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ।
মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দের মধ্যে আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী, এডভোকেট কিশোর কুমার কর, মো. আব্দুল আজিম জুনেল, মুক্তার খান, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, এমরুল হাসান, সুদীপ দেব, সাব্বির খান, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, রোকসানা পারভীন, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, মহসিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, শিপা বেগম শুপা, জুমাদিন আহমেদ, রকিবুল ইসলাম ঝলক, ইলিয়াছ আহমেদ জুয়েল।