ভোগান্তির অপর নাম রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাট। নদী পারে এসে ঘাটপ্রান্তে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন গাড়িচালক ও যাত্রীরা। এই ভোগান্তি নিত্যদিনের। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরই এই চিত্র বদলে যাবে বলে আশা করছেন তারা। কারণ, সেতু চালুর পর দৌলতদিয়া ঘাটপ্রান্তে চাপ কমে আসবে। এতে স্বস্তিতে যাতায়াতের আশা দেখছেন গাড়িচালক ও যাত্রীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট সূত্র জানায়, স্বাভাবিক সময়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২৪ ঘণ্টায় আট থেকে ১০ হাজার ছোট-বড় যানবাহন নদী পারাপার হয়। ঈদ আসলেই যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী, চালক ও সহকারীরা। বিশেষ করে পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে দিনের পর দিন সড়কে অপেক্ষা করে ফেরি পার হতে হয়। অপরদিকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহনগুলোকেও মহাসড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফেরির নাগাল পেতে হয়। এ সময় নারী, শিশু ও বয়স্করা ভোগান্তিতে পড়েন।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে যাতায়াতকারী যাত্রী ও চালকদের আশা, পদ্মা সেতু চালু হলে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কমে আসবে। সেক্ষেত্রে এই নৌপথে আরও কোনও ভোগান্তি থাকবে না।
ট্রাকচালকরা বলছেন, দৌলতদিয়া ঘাট পার হওয়ার কথা ভাবলেই ভয় লাগে। কারণ, ৩০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে দিনের পর দিন সড়কে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকতে হয়। এতে খরচ বেড়ে যায় এবং নানান ভোগান্তি পোহাতে হয়। পদ্মা সেতু চালু হলে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হবে না, খরচও বাঁচবে এবং সময় মতো পণ্য সরবরাহ করা যাবে।
ফেরি পারের অপেক্ষায় দৌলতদিয়া ঘাটপ্রান্তে অপেক্ষায় থাকা একাধিক বাসের যাত্রীরা বলেন, ‘ঘাটে এসে পারের জন্য প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হয়। পদ্মা সেতু চালু হলে এই ভোগান্তি কমবে।’
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় আগেই ১৬ দিন ধরে দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ কম রয়েছে। ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালুর পর এ নৌপথে যানবাহনের চাপ অনেক কমে আসবে। তখন আর যাত্রী ও যানবাহন চালকদের সড়কে অপেক্ষা করতে হবে না। আশা করছি তারা সরাসরি ঘাটে এসে ফেরিতে উঠতে পারবেন।’