ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে আগামী শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নয়াদিল্লিতে ওই দিন সন্ধ্যায় দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। ওই বৈঠকে তিস্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ইস্যুতে আলোচনা হবার কথা।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ৮ তারিখ সন্ধ্যার সময় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক অনেক ইস্যু রয়েছে। এগুলো সবগুলো নিয়ে আলাপ হবে। আমাদের কানেক্টিভিটি ইস্যু আছে, তিস্তার পানির বিষয়ে কথা বলব। এরপর এনার্জি সিকিউরিটি, ফুড সিকিউরিটি নিয়ে আলাপ হবে। দুদেশের মধ্যে এখন প্রচুর প্রজেক্টও রয়েছে, সেগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলাপ হবে। পুরো দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলাপ করার সুযোগ হবে না। তারপরও যত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রয়েছে সেগুলো নিয়ে আলাপ হবে।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ৮ সেপ্টেম্বরই নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর সেখানে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করবেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান।
এদিকে দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে ঢাকায় আসছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ১০ সেপ্টেম্বর তার ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
এছাড়া দিল্লি সম্মেলনে যাওয়ার আগে ৭-৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সফর করবেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সৌজন্য সাক্ষাৎ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে হবে। সেদিন দুপুরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী দিল্লি পৌঁছবেন। ওইদিন বিকালেই তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। আর ১০ সেপ্টেম্বর বিকালে অথবা সন্ধ্যায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক হবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, অনেক দেশের শীর্ষ নেতারা জি-২০ সম্মেলনে ভারতে আসছেন। সেই সুযোগে তারা আমাদের দেশে আসার একটা উদ্যোগ নিয়েছেন। আমরা এটাকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী দাওয়াত দিয়েছিলেন।
ড. মোমেন জানান, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ঢাকায় এলে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা ইত্যাদি ইস্যুতে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।