শাল্লায় সংঘর্ষে দুজন নিহতের ঘটনায় দুই মামলা

সুনামগঞ্জের শাল্লায় সাবেক ইপি মেম্বারসহ দুইজন নিহতের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে একটি মামলা দায়ের করেন নিহত সাবেক ইউপি মেম্বার হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মিনা বেগম, আর অপরটি পুলিশ এসল্ট মামলা।

বুধবার (২৮ জুন) দায়ের করা দুটি মামলাতে শতাধিক ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে শাল্লা থানা পুলিশের এএসআই রাজীব দে বাদী হয়ে পুলিশ এসল্ট মামলাটি দায়ের করেন। ঐ মামলায় মুজিবুর রহমানসহ ১৯ জনকে আসামী করে এবং অজ্ঞাত আরো ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশের দায়ের করা মামলায় উপজেলার কার্তিকপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে মুজিবুর রহমান (৫৫)-কে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

অপরদিকে সংঘর্ষে নিহত হওয়া শাল্লা ইউপির ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মিনা বেগম বাদী হয়ে কার্তিকপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনসহ ৩৬ জন ও অজ্ঞাত আরো ১৪ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা শাল্লা থানায় দায়ের করেন।

এ বিষয়ে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, সাতপাড়া বাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি এসল্ট মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে সুনামগঞ্জ কোর্টে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আরেকটি অভিযোগ করেন সাবেক মেম্বার নিহত হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মিনা বেগম। এসব মামলায় গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। তিনি বলেন, আপাতত পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। মঙ্গলবার সংঘর্ষে ২ জন নিহত হন। আমরা এখন শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাতপাড়া বাজারে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করেছি। যেসব অভিযোগ থানায় দায়ের করা হয়েছে এগুলোর তদন্ত চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকালে সরকারি জমিতে ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে উপজেলার কার্তিকপুর গ্রামের মুজিবুর রহমান ও ইউসুফ আলী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত হন উভয়পক্ষে অন্তত ২০ জন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক শাল্লা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে অন্তত ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে হয়।

সংঘর্ষে বুকের মধ্যে টেঁটা বিদ্ধ হয়ে মারা যান সাবেক ইউপি মেম্বার কার্তিকপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান (৪৯)। আর হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান একই গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া (২৫)। এছাড়া সংঘর্ষে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর আলীম উদ্দিনসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। সংঘর্ষে আহতরা নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।