সুনামগঞ্জের শাল্লায় সরকারি সড়ক দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে হাবিবুর রহমান (৪৫) নামে সাবেক ইউপি সদস্য নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তিনি কার্তিকপুর গ্রামের কাজু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরে সংঘর্ষ থামাতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৭ জুন ) দুপুরে উপজেলার ৪নং শাল্লা ইউনিয়নের সাতপাড়া বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাল্লা উপজেলা কার্তিকপুর গ্রামের মুজিবুর রহমান এবং নিজাম উদ্দিন এই দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে সাতপাড়া বাজারে সরকারি সড়ক দখল করে ঘর তৈরী নিয়ে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে মিমাংসা করার চেষ্টা করে।এসময় উভয় পক্ষের লোকজন কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে পুলিশের উপরও হামলা চালানো হয়। এ সময় বুকে টেটা বিদ্ধ হয়ে হাবিবুর রহমান নামে একজন মারা গেছেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতদের মধ্যে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলিম উদ্দিন শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়া শাল্লা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আহত হাবিবুর রহমানকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে বুকে টেটাবিদ্ধ অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।অন্য গুলিবিদ্ধ ও আহত ব্যক্তিদের নাম পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, সাতপাড়া বাজারে দুপক্ষের সংঘর্ষে সাবেক মেম্বার নিহত হয়েছে। এছাড়াও পুলিশসহ অন্তত আরো ২০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এই ঘটনায় এখনো অভিযোগ পাইনি পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।