সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ১নং আটগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ডের সদস্য নূরুল হকের অপসারণের দাবিতে মানববন্দন অনুষ্টিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, ভিজিডি কার্ড নিজের স্ত্রী ও বোনের নামে ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২ জুন) বিকাল চারটায় স্থানীয় শ্যামারচর বাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইউপি সদস্য মো. নুরুল হক বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত। তার নেতৃত্বে এলাকায় মাদকের উপকরণ বিক্রি করা হয়। বিভিন্ন প্রজেক্টের কাজ না করেই টাকা উঠিয়ে নেন তিনি। তাছাড়া তার স্ত্রী ও বোনের নামে ভিজিডি কার্ড করাসহ নানা দুর্নীতির সাথে জড়িত ও তার কুকর্ম নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
এসময় তারা ইউপি সদস্য নুরুল হকের শাস্তি ও অপসারণের দাবি জানান।
আবুল মিয়ার সভাপতিত্বে ও আনোয়ার হোসাইনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সিরাজুল ইসলাম, মুজাহিদ মিয়া, জহির মিয়া, ময়না মিয়া, কাদির মিয়া, মতু মিয়া, রমজান মিয়া প্রমুখ।
এদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য নূরুল হক ২০২৩-২৪ মেয়াদে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে ইস্যু করা ৫৯নং কার্ডটি তার স্ত্রী খালেদা খানম কলি ও বোন মোছা. তাহেরা আক্তারের নামে ৬নং কার্ড ইস্যু করেন।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, বৈবাহিক সূত্রে ওর্য়াড সদস্য নূরুল হকের বোন তাহেরা আক্তার নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। কিন্তু ইউপি সদস্য ভিজিডি কার্ডের আওতায় তার স্ত্রী ও বোনের নামে গত চার মাসে ৬০ কেজি করে চাল তুলছেন।
নিজের স্ত্রী ও আপন বোনের নামে ভিজিডি কার্ড করে দেওয়ার বিষয়টি এই প্রতিবেদকের কাছে স্বীকারোক্তি মূলক বক্তব্যও দিয়েছেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নূরুল হক।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম