সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের রাজন দাশ গংদের বিরুদ্ধে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বার তলপেটে লাথি মেরে পেটের বাচ্চাকে প্রাণে মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় একই গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা মহিলার স্বামী প্রিতেশ দাস বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৬১/২০২৩। মামলায় রাজন দাস (২২), সৈকত দাস (২০), রাজমোহন দাস (৫৫), স্বদেশ দাস (৩৫), শৈলেশ দাস (৪০), করুনা দাস (৫৫) ও পঞ্চমী রানী দাস (৫০)কে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উল্লেখিত আসামিরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনাটি ঘটায়। ঘটনার মাসখানেক পরে বাদীর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে বাদীর স্ত্রী মৃত সন্তান প্রসব করেন এবং আসামিগণের মারপিঠের কারণে তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তানের অকাল মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এদিকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালত এই মামলাটি সিলেট পিবিআইয়ে প্রেরণ করেছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা সত্যব্রত সরকার দ্বীজেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে এই ঘটনা সম্পর্কে কিচ্ছু জানেন না বলে জানান তিনি।
বাদী প্রিতেশ দাস বলেন, ‘দাঙ্গাবাজ আসামিদের অত্যাচার ও মারধরের কারণেই আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটের বাচ্চা মারা গিয়েছে। তাই সঠিক বিচার পাওয়ার আশায় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।