রেলওয়ের সেবা গ্রহীতাদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ। গত ১ মার্চ থেকে যাত্রীকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে টিকিট সংগ্রহ করতে হচ্ছে। একই সাথে ভ্রমণের সময় টিকিটের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধনের কপি সঙ্গে রাখতে হচ্ছে।
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির বন্ধ করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ ব্যবস্থাকে ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ বলছে রেলওয়ে। এর সুফলও পাচ্ছেন শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের সাধারণ যাত্রীরা। আগে যেখানে অনলাইনে টিকিট ছাড়ার মিনিট খানেকের মধ্যে তা শেষ হয়ে যেত, এখন কয়েক ঘণ্টা পরেও অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে টিকিট। এছাড়া আগে কাউন্টারের সামনে টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন অর্ধেক হওয়ার আগেই টিকেট শেষ হয়ে যেত। বর্তমানে তেমন কোনো লাইন নেই কাউন্টারে। দীর্ঘসময় পরেও মিলছে টিকিট।
শনিবার (৪ মার্চ) সকালে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, টিকিট কাউন্টারের সামনে নেই কোনো ভিড়। যে দুই-একজন টিকিট প্রত্যাশী আছেন তারাও খুশি টিকিট পেয়ে। তবে অনেকেই বলছেন, এনআইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদেরকে।
শফিকুল ইসলাম নামের এক কলেজ শিক্ষক বলেন, টিকিট পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। তবে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় কিছুটা সময় লেগেছে।
রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে, রেলের কর্মকর্তারা পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) মেশিনের মাধ্যমে টিকিট যাচাই করবেন। কেউ অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে টিকিট কেটে ভ্রমণ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টিকিট কালোবাজারি বন্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সরকারি উদ্যোগের অংশ এটি।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আবুল খয়ের চৌধুরী বলেন, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় যাত্রীদেরকে হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এছাড়া আগে দেখা যেত সকাল ৮টায় টিকিট ওপেন হওয়ার সাথে সাথে অনলাইনের টিকেট শেষ হয়ে যেত। এখন কয়েক ঘণ্টা পরেও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। কাউন্টারেও সবসময় টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। আমি মনে করি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সেটি সফল হলে যাত্রী এবং রেলওয়ে উভয়েই উপকৃত হবে।