শান্তিগঞ্জের ঘুড়াডুম্বুর গ্রামের গৃহবধূ মাসুমা বেগমকে (২০) হত্যার দ্বায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন নিহত মাসুমার স্বামী আকিল মিয়া।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকালে তাকে সুনামগঞ্জের আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পারিবারিক কলহের জেরে মাসুমাকে হত্যা করেছেন বলে জানান আকিল মিয়া।
এরআগে বৃহস্পতিবার সকালে বসতঘরের টয়লেটের তীরের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় মাসুমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি রহস্যজনক হওয়ায় মরদেহ উদ্ধারের পর বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধূ মাসুমার ভাই কয়েস মিয়া বাদী হয়ে মাসুমার স্বামীকে প্রধান আসামী করে শান্তিগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন । মামলা নং-০৭ (২৯.০৭.২২)।
পুলিশ জানায়, মামলা দায়েরের পরপরই থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে প্রধান আসামী আকিল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জ দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করলে আসামী আকিল মিয়া গৃহবধূ মাসুমাকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পারিবারিক কলহের জেরে পরিকল্পিতভাবে মাসুমাকে হত্যার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বসতঘরের টয়লেটের তীরের সাথে ঝুলিয়ে রাখে তার স্বামী। পরে নিজে বাঁচতে পরিকল্পিত এই হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চাপিয়ে দিতে চেষ্টা করে আসামি আকিল মিয়া।
এব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী বলেন, গৃহবধূ মাসুমার মৃত্যুর বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়েরের পরপরই বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে আমরা আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। বিজ্ঞ আদালতে আসামী পরিকল্পিত হত্যার দ্বায় স্বীকার করেছে।