সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে রয়েছে অসংখ্য মরা গাছ। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলছেন গাড়িচালক, যাত্রী ও পথচারীরা। সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার আহসনামারা এলাকা থেকে ছাতক এলাজার গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে অসংখ্য সারি সারি গাছ রয়েছে। এসব গাছের ফাঁকে ফাঁকে অসংখ্য মরা গাছ গাড়িচালক ও যাত্রীদের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৩ অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট থেকে শান্তিগঞ্জ উপজেলার আহসানমারা এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় দুপাশে অর্ধশতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মরে শুকিয়ে আছে। সবচেয়ে বেশি গাছ রয়েছে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা-ডাবর এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে। মরা এসব গাছের ডাল প্রায়ই ভেঙে পড়েছে রাস্তায়। এসব মরা গাছের ডালপালা রাস্তার দিকে হেলে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন চালকরা।
তবে দীর্ঘদিন ধরে এসব গাছ মরে থাকলেও কাটার উদ্যোগ নেয়নি সড়ক ও জনপথ এবং বন বিভাগ। ঝড়-বৃষ্টির সময় মরা গাছের ডাল ভেঙ্গে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা এড়াতে এসব মরা গাছ দ্রুত অপসারণের জন্য দাবি জানান গাড়িচালক, যাত্রী ও পথচারীরা।
সুনামগঞ্জ রোডের গাড়ি চালক আলী হোসেন জানান, ঝড়-বৃষ্টির দিন ছাড়াও সড়কে চলতে ভয় লাগে। কখন যে গাছ ভেঙে পড়ে গাড়ির ওপর, সব সময় আতঙ্ক কাজ করে। অধিকাংশ মরা গাছ পোকা খেয়ে নরম করে রেখেছে।
পথচারী বুরহান উদ্দিন বলেন, আমাদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য দ্রুত এসব মরা গাছ অপসারণ করতে হবে। না হলে যেকেউ যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পরতে পারেন।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিন সোহাগ জানান, সুনামগঞ্জ সিলেট আঞ্চলিক মহা সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের হলেও রাস্তার দুই পাশের গাছগুলি বন বিভাগ দেখাশুনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে। এই বিষয়ে আমি বন বিভাগের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।