রাজধানীতে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ থেকে ফেরার পথে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চারজন, তাদের অবস্থাও গুরুতর।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারের পাশের রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার যুবলীগ কর্মী নোমান হোসেন রনি, দিনমজুর মোকাশ্বের, রাজমিস্ত্রি আরিফুল ইসলাম ও স্কুল শিক্ষার্থী মো. জুবায়ের হোসেন।
হাসপাতালে আহত রনির সঙ্গে থাকা কেরানীগঞ্জ মডেল থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈকত হাসান বিপ্লব গণমাধ্যমকে জানান, তারা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিন আহমেদের সমর্থক। নেতাকর্মী নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে এসেছিলেন। সমাবেশ শেষ করে সেখান থেকে কেরানীগঞ্জের উদ্দেশে রওয়ানা হন। কিন্তু গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারের পশ্চিম পাশে আসলে পেছন থেকে আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সমর্থকরা তাদেরকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। পরবর্তীতে আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
তিনি আরও জানান, সমাবেশেও কামরুল ইসলামের সমর্থক ও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই যুবকের বাম পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। বাকি ৪ জনের অবস্থাও গুরুতর। তাদেরকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’ তবে নিহত যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেন নি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আহতদের মধ্যে জোবায়ের নামে এক কিশোর হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেছে, তার বাসা বংশালে। সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।
মোবাইলের কভার কিনতে গুলিস্থানে এসে মারামারির মধ্যে পড়ে যায়।
আর আহত রনির বাসা কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায়। তার বুকে ছুরি লেগেছে। নিজেকে তিনি কেরানীগঞ্জ যুবলীগের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
এর আগে বিকেলে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন- ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ শান্তি সমাবেশ করে। ‘বিএনপি-জামায়াতের হত্যা, ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে’ আয়োজিত এ সমাবেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।