শহীদের রক্ত বৃথা যায় না : খন্দকার মুক্তাদির

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে বেপরোয়া আওয়ামী লীগের বেপরোয়া লুটপাটের কারণে দেশ আজ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। তারা নিশিরাতে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা দখল করে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দেশের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গুম-খুন-অপহরণ করছে। হামলা, মামলা, নির্যাতন আর বিরোধীদলের সভা-সমাবেশে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করে গুম, ক্রসফায়ার ও প্রতিহিংসামূলক মামলা দিয়ে বিরোধী দলকে দমন নিপিড়ন করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চাইছে। চলমান আন্দোলনে তারা এ পর্যন্ত আমাদের ৬ জন নেতাকর্মীকে শহীদ করেছে। ইতিহাস বলে শহীদের রক্ত কখনও বৃথা যায় না। এই শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করতে হবে।

সোমবার (১০ অক্টোবর) বেলা ২টায় গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশের গুলি ও হামলায় নিহত শহিদ আব্দুর রহিম, নূরে আলম, শাওন প্রধান, শহিদুল ইসলাম শাওন ও আব্দুল আলিম স্মরণে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত শোক র‍্যালি পরবর্তী প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত শোক সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন, লুটপাটের কারণে দেশ এখন তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে।

সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, লুটেরা সরকারকে বিতাড়িত করে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম বলেন, জনগণ বিএনপির নেতৃত্বে এই সরকারকে বিতাড়িত করতে ঐক্যবদ্ধ।

সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে দমন-পীড়ন, মধ্যরাতে তুলে নিয়ে যাওয়া, গুম-খুন-জঙ্গি নাটক শুরু করেছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ দিশেহারা। আওয়ামী লীগ মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষ আজ গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ আন্দোলনও করতে পারে না। জনতার প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কেনা বুলেট শত্রুদমনে ব্যবহার না করে বিরোধীদলকে দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে। এসবের হিসাব একদিন দিতে হবে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করে আমরা ঘরে ফিরব ইনশাআল্লাহ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুল গফফার, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন, আশিক চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, বিএনপি নেত্রী সামিয়া বেগম চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, সিলেটের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ টি এম ফয়েজ উদ্দিন, জেলা বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম ফারুক, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, দক্ষিন সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক কোহিনূর আহমদ, কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া, বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম রববানী, ফেঞ্জুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি ওয়াহিদুজজামান সুফি, ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ টি এম ফখর উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর, গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহবুব আলম, সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন, বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আহমদ রেজা, সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার হোসেন, গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি মুশিকুর রহমান মুহি, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, বিশ্বনাথ পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক বশির আহমদ, সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন, মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহনেওয়াজ বক্ত তারেক, সাধারণ সম্পাদক মীর্জা সম্রাট হোসেন, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবুল আহাদ খান জামাল, সদস্য সচিব শাকিল মুর্শেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, সদস্য সচিব আফছর খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন দিনার, মহানগর সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এস, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হাসান রাব্বী প্রমুখ।