ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে ভারতীয় কিংবদন্তী শচীন টেন্ডুলকারের সর্বোচ্চ ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিলেন বিরাট কোহলি। মুম্বাইয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করলেন নিজের ৫০তম সেঞ্চুরি।
এবারের বিশ্বকাপেই একাধিকবার সুযোগ এসেছিল কোহলির সামনে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই গ্রুপপর্বে খেলেছিলেন ৯৫ রানের ইনিংস। সেদিন হয়নি শেষের দিকে মনোঃসংযোগ হারানোর কারণে। সুযোগ ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেও। সেদিনও মুম্বাইয়ের এই মাঠেই শতকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন কোহলি। তবে শেষ পর্যন্ত ওটা আর হয়নি। ৮৮ রানে থামতে হয় তাকে।
সেমিফাইনালের মত বড় মঞ্চে আগে কখনোই ভালো কিছু করা হয়নি তার। আগেরদিন কলকাতায় নিজের জন্মদিনে কিছুটা ধীরগতিতে খেলেছিলেন বিরাট। নিজের জন্য খেলছেন, এমন অভিযোগটাও সেদিন শুনতে হয়েছে। সেমিফাইনালে যেন সেসব বিতর্কই মিটিয়ে ফেলতে চাইলেন। শুরু থেকে সাবধানী ছিলেন সত্য। তবে সময় বুঝে নিজের ইনিংসে গতি এনেছেন। রান তুলেছেন নিজের স্বভাবসুলভ শট দিয়ে।
সেঞ্চুরির অর্ধশতক করতে খেলতে হয়েছে ১০৬ বল। নড়বড়ে নব্বইয়ের পর মাসল ক্র্যাম্প হয়েছে। তাতে অবশ্য দমানো যায়নি তাকে খুব একটা। শেষ পর্যন্ত যখন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেছে, তখনই কোহলি হয়েছেন ইতিহাসের অংশ।
এদিন সেঞ্চুরির পথে আরও একটি রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। যে রেকর্ডে তিনি পেছনে ফেলেছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান এবং ভারতের শচীন টেন্ডুলকারকে। এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসের তালিকায় এতদিন রেকর্ড ছিল এই দুজনের। ২০০৩ সালে শচীন টেন্ডুলকার এবং ২০১৯ সালে সাকিব খেলেছিলেন ৭টি পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস। কোহলি টপকে গিয়েছেন সেই রেকর্ডও।
এমনকী এই এক সেঞ্চুরিতে আরও এক রেকর্ড ভেঙে দিলেন কোহলি। বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ রানের মালিক এতদিন ছিলেন শচীন। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ৬৭৩ রান করেছিলেন তিনি। কোহলি আজ ছাড়িয়ে গেলেন সেটাও। এই ম্যাচের আগে কোহলির রান ছিল ৫৯৪। শতরানের পর এখন কোহলি আছেন ৬৯৪ রানে।