সীমিত চাষের পরও লাখাইয়ে বোনা ও রোপা আউশের বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। দীর্ঘ খরার কারনে ও সময় মতো বৃষ্টি পাত না হওয়ায় লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে কম চাষ হয়েছে আউশধান।
চলতি বছরে আউশধান এর চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল ২ হাজার ৩ শত হেক্টর জমি। কিন্তু অনাবৃষ্টি ও দীর্ঘ খরার কারনে বিলম্বে চাষের ফলে লক্ষ্য মাত্রার অনেক কম জমিতে চাষ হয়েছে আউশ ধান। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এ মৌসুমে বোনা ও রোপা আউশধান এর আবাদ হয়েছে ৮ শত হেক্টর জমি। প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর পরামর্শে আউশধান আবাদ করেছেন কৃষকরা। বিলম্ব হলেও বর্তমানে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত হওয়ায় আউশধান এর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় অনেক কৃষকের সময়মতো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বোনা আউশ ও বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া বৃষ্টির অভাবে ও যেখানে সেচের সুবিধা নেই সেখানে আউশধান আবাদ করতে পারেননি। আর যারা বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে আউশধান আবাদ করেছেন তাদের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলার করাব, মুড়িয়াউক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শনকালে দেখা যায়, চারদিকে শুধু সবুজের সমারোহ। করাব ইউনিয়নের করাব গ্রামের কৃষক শাহজাহান মিয়া জানান, আমি এ বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর দেওয়া একটি প্রদর্শনী প্লট সহ প্রায় ৫ বিঘা জমিতে আউশধান আবাদ করেছি। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান মিজান বলেন, এ বছর খরার কারনে ও বিলম্বে চাষের ফলে চাষের লক্ষ্য মাত্রা পুরন হয়নি। তবে পরবর্তীতে বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূল থাকলে বাম্পার ফলনে আশাবাদী। আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ এবং ধানের জাত নির্বাচন করাসহ সার্বিক সহযোগিতা করে আসছি।