হবিগঞ্জের লাখাইয়ে ছয়টি মণ্ডপে বসন্তকালীন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতকাল সোমবার (২৭ মার্চ) মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বসন্তকালীন দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) মহাসপ্তমী।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। বসন্তকালের পূজা কালের পূজা নামে পরিচিত। রাজা রামচন্দ্র রাবনকে পরাজিত করার লক্ষ্যে শরৎকালে দেবী দুর্গার অকাল বোধনে আমন্ত্রণ জানান এবং শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনা হয়।
লাখাই উপজেলার রাঢ়িশাল গ্রামের প্রাক্তন শিক্ষক ও শিক্ষাবিদ স্বর্গীয় অজিত কুমার ভট্টাচার্য্যের ছেলে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমিত ভট্টাচার্য্যের বাডড়িতে (ঠাকুর বাড়ি), পূর্ববুল্লা গ্রামের গোপাল ডাক্তারের বাড়িতে পারিবারিকভাবে, কৃষ্ণপুর গ্রামের পিযুষ মাস্টারের বাড়িতে, মোড়াকড়ি গ্রামের কৃষ্ণ পালের বাড়িতে, কৃষ্ণপুরে আশীষ সূত্রধরের বাড়িতে, একই গ্রামের যদুনন্দন রায়ের বাড়িতে এবং লাখাইয়ে রামকৃষ্ণ সেবা সংঘের উদ্যোগে সার্বজনীন বাসন্তী দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পাঁচদিনব্যাপী দুর্গাপূজার আগামী শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিজয়া দশমীর মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটবে।
এ বিষয়ে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রানেশ গোস্বামী জানান, চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষে অনুষ্ঠিত পূজাই হচ্ছে আদি দুর্গাপূজা। তবে বর্তমানে আশ্বিন মাসে শারদীয় দুর্গাপূজাই বেশি জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, সমাধি নামক বৈশ্যের সাথে মিলে চন্দ্র বংশীয় রাজা সুরথ বসন্তকালে মেধস মুনির আশ্রমে দেবী দুর্গার আরাধনা করেছিলেন। পরবর্তীকালে এটি বাসন্তী পূজা নামে প্রসিদ্ধ হয়। অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও বাসন্তী পূজা আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাসন্তী পূজা উপলক্ষে উপজেলাবাসীকে শুভেচ্ছা ও তাদের সুখ-সমৃদ্ধ কামনা করছি।