লাখাইয়ে সরিষার আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী হলেও দীর্ঘ খরার কবলে পড়ায় কাঙ্ক্ষিত ফলন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলাজুড়ে সরিষার আবাদ বাড়লেও দীর্ঘ খরায় চিন্তার ভাজ পড়েছে কৃষকদের কপালে।
জানা যায়, যেসব জমিতে বোনা আমন ধানের চাষাবাদ হয় সেসব জমিতে সরিষার আবাদ হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর বন্যায় বোনা আমনের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় এ সকল জমির বেশীরভাগ রোপা আমন ধান চাষাবাদ হয়েছে। এ অবস্থায় যে জমিতে রোপা আমন ধান চাষাবাদ হয়নি সে জমিতে আগাম সরিষার আবাদ হয়। আর সে জমিতে রোপা আমন পরবর্তী সরিষার চাষাবাদ হয় কিছুটা বিলম্বে।
এদিকে চলতি বৎসর কার্তিক মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহে লাখাইয়ে কোন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং দীর্ঘ ৪ মাসের খরার কবলে পড়ায় জমিতে শুষ্কতা দেখা দিয়েছে। এতে পরিমাণ মতো সার এমনকি প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করেও ফলন আশানুরূপ হওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে কৃষককূল। আগাম চাষাবাদের জমিতে ফলন আশানুরূপ হলেও বিলম্বে চাষকৃত জমিতে ফলনে কিছুটা কম হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে সাতাউক মাঠে আলাপকালে কৃষক নজরুল ইসলাম ও আব্দল হক জানান, অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহে কম- বেশী বৃষ্টি হলে রবিশস্য ভালো হয়। তবে এবছর তা হওয়ায় বিলম্বে চাষ করা জমিতে সরিষার ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে কাঙ্ক্ষিত মুনাফাও পাওয়া যাবে না। তবে যে জমিতে রোপা আমন ধান চাষাবাদ হয়নি তাতে সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ার আশা করেন তারা।
তারা বলেন, ‘জমিতে আদ্রতা না থাকায় সার প্রয়োগেও তেমন ফলাফল পাচ্ছি না। এতে শুধু খরচ বাড়ছে।’
লাখাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতিবৎসর সরিষার আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছিল ২ হাজার ১২০ হেক্টর। তবে চাষাবাদ হয়েছে ২ হাজার ৪ শত হেক্টর।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাকিল খন্দকার জানান, ‘লাখাইয়ে সরিষা ফলন আশানুরূপ হলেও খরার কারণে বিলম্বে চাষের ক্ষেত্রে ফলন আশানুরূপ হওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি।’