লাখাইয়ে ঝড়ে ভেঙ্গেপড়া গৃহ মেরামতের জন্য পূর্ববুল্লা গ্রামের শফিকুলকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও ২ বান্ডিল ঢেউটিন এবং একই গ্রামে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যাওয়া সঞ্জয় দাসের স্ত্রী অসীমা রানী দাসকে ২০ হাজার টাকার সহায়তার চেক প্রদান করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফ উদ্দীন নিজ কার্যালয়ে এ সহায়তার অর্থ, চেক ও ঢেউটিন উল্লেখিত ব্যক্তিদ্বয়ের হাতে তুলে দেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলী নূর, লাখাই রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মো. বাহার উদ্দীন, সিনিয়র সাংবাদিক এম.এ. ওয়াহেদ, এম ইয়াকুব হাসান অন্তর, সাংবাদিক ফোরাম লাখাইয়ের সভাপতি সুশীল চন্দ্র দাস।
উল্লেখ্য, বিগত মাস দুয়েক পূর্বে উপজেলার পূর্ববুল্লা গ্রামের মৃত শাহ আলমের পুত্র শফিকুল আলমের শেষ সম্বল বসতঘরটি ঝড়ের কবলে পড়ে মাটির সাথে মিশে যায়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. অতিদ্রুত শফিকুলের ভাঙ্গা গৃহ পরিদর্শন করেন এবং সহায়তার আশ্বাস দেন।
এর প্রেক্ষিতে আজ সোমবার তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৫ হাজার টাকা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৪ হাজার টাকা ও আমেরিকা প্রবাসী ওয়াছি চৌধুরীর পক্ষে ৫ হাজার টাকা এবং গৃহ নির্মাণ মঞ্জুরি খাত থেকে ৬ হাজার টাকা এবং ২ বান্ডিল ঢেউটিন প্রদান করা হয়।
এদিকে একই গ্রামের সন্জয় দাস গেল ১৫ আগস্ট হাওরে ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা গেলে তাঁর স্ত্রী, মা ও ৬ ছেলেমেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। এ সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে তাকে ২০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।