বাংলাদেশ দলের দৃষ্টিকটু ব্যাটিংয়ের দিনে একাই লড়লেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে পুরো ৫০ ওভারও খেলতে পারলোনা বাংলাদেশ দল। ৪২.৪ ওভারেই অল আউট। ১৬৪ রানে থেমেছে টাইগারদের স্কোরবোর্ড।
ব্যঅটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে একমাত্র ব্যতিক্রম শান্ত। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১১ রান দুরে থাকতে লংকান পেসার তিকশানার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে শেষ হয় শান্তর ৮৯ রানের ইনিংস। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা ক্যারম বলটি ঢুকছিল ভেতরের দিকে, ব্যাট ও প্যাডের মধ্যে থাকা গ্যাপ গলে ভেঙেছে স্টাম্প।
এর আগে ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে নাজমুলের জুটিতে উঠেছিল ৫৯ রান। হৃদয় যাবার পর আর কোনো জুটি গড়ে ওঠেনি। মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ বা মেহেদী হাসান সঙ্গে দিতে পারেননি শান্তকে। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে নাজমুল ফেরার পর বাংলাদেশও টেকেনি আর কিছুক্ষণ।
ম্যাচের আগে থেকে চোটের কারণে শ্রীলঙ্কার বোলিং লাইনআপ দুর্বল বলে যে আলোচনা ছিলো বাংলাদেশের ব্যাটারদের আউট দেখলে তা নিতান্তই গুজব মনে হতে পারে।
তামিম ইকবালের জায়গায় অভিষেক হয়েছে তানজিদ হাসান তামিমের। তবে এমন অভিষেক নিশ্চই মনে রাখতে চাইবেন না জুনিয়র তামিম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন, তিকশানার বল বুঝতেই পারেন নি। এলবিডব্লিউ হবার আগে রানের খাতাই খুলতে পারেন নি।
তামিমের পর বিদায় নিয়েছেন আরেক ওপেনার নাঈম শেখ। অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে বড় শট খেলতে গিয়ে পয়েন্টে সহজ ক্যাচ তুলে দেন, এর আগে ২৩ বলে ১৬ রান করেছেন নাঈম। সাকিবও নিরাশ করেন আজ। মাতিশা পাতিরানার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। ১১ বলে করেন ৫ রান।
বাংলাদেশ যখন ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুকছে তখন শান্তর সাথে জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয়। জুটিতে আসে ৫৯ রান। এর মধ্যে ফিফটি তুলে নেন শান্ত। ২৪তম ওভারের শেষ বলে ফেরেন হৃদয়। ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে শানাকাকে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হন। বাংলাদেশ চতুর্থ উইকেটের পতন দলীয় ৯৫ রানে।
এরপর একে একে মুশফিক, মিরাজ আর মেহেদী ফিরে যান নিয়মিত বিরতিতে। বাংলাদেশও লঙ্কানদের সামনে দাঁড় করায় ১৬৫ রানের মামুলি টার্গেট।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪ উইকেট নেন মাথিসা পাথিরানা।