ইউক্রেনের কাছাকাছি রাশিয়ার সীমান্তবর্তী শহর বেলগরোদের একটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন।
শনিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে হামলার বিষয়টি জানিয়েছে এবং এটিকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করেছে। দুই হামলাকারী ফায়ারিং রেঞ্জে রুশ স্বেচ্ছাসেবকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
এ সময় রুশ সেনাদের পাল্টা হামলায় সন্দেহভাজন দুই হামলাকারী নিহত হয়েছে। রাশিয়ার কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, নিহত দুজন ‘কমনওয়েলথ অফ ইনডিপেনডেন্ট (সিআইএস)’ ভুক্ত দেশের নাগরিক।
বলকান অঞ্চল, ইউক্রেন, জর্জিয়া, তুর্কমেনিস্তানসহ সিআইএসভুক্ত দেশের বেশির ভাগই সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত।
রাশিয়ার সামরিক বাহিনী হামলার বিষয়ে ও হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি।
রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এরই মধ্যে আংশিক সেনা সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র বসানো হয়েছে বেলগরোদে। সেই রকম এক প্রশিক্ষণকেন্দ্রেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে হামলার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেনি।
রাশিয়ার কর্তৃপক্ষও গত সপ্তাহে ক্রিমিয়া সেতুতে ট্রাক বিস্ফোরণকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে ঘোষণা করেছে।
রাশিয়ান ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দাদের বোমা হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী বলে অভিযুক্ত করেছে, যা ট্রাক চালকসহ অন্তত চারজন নিহত হয়েছে এবং সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়।