বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা অপু উকিল বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকতে সিলেটসহ সারা দেশে যুব মহিলা লীগের অনেকে জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এখনো নেতাকর্মীরা তাদের শরীরে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের নির্যাতনের চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, যুব মহিলা লীগ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে সকল দুর্যোগে মাঠে-ঘাটে কাজ করে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট নগরীর জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আয়োজিত জেলা যুব মহিলা লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি ডেইজি সারোয়ার-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এসময় অপু উকিল বলেন, সিলেট যুব মহিলা লীগের ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি হবে। এতে সকল উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটির পরিধি বৃদ্ধি পাবে। যুব মহিলা লীগ চায়, অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের ৩৩% নারী কোটা বৃদ্ধি পাক। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় যেতে যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আদিবা আঞ্জুম মিতা এমপি, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জমান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি কোহেলী কুদ্দুছ মুক্তি, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি পারভীন খায়ের প্রমুখ।
সম্মেলনে ৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যাকান্ডের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে সিলেটের ৬জন কৃতি জাতীয় রাজনীতিবিদগণের স্মরণে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সম্মেলনের পূর্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপিসহ যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ একঝাঁক কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এ সময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
দুপুর ১২টায় মঞ্চে আরোহন করেন সকল অতিথিবৃন্দ। এ সময় অতিথিবৃন্দকে সিলেট যুব মহিলা লীগ নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানের মধ্যভাগে দলীয় নৃত্য সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে দ্বিতীয় অধিবেশন বসে। এ অধিবেশনে সিলেট জেলা কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠনের জন্য নিজ নিজ প্রার্থীতা ঘোষণা করা হয়।
সভাপতি পদে নাজনীন আক্তার কণা, তাসমীহ বিনতে স্বর্ণা ও নাজিরা বেগম শীলা প্রার্থী হন। সাধারণ সম্পাদক পদে একজন প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। তখন মঞ্চে সিলেট জেলা যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মহিলা কাউন্সিলর নাজনীন আক্তার কণা ও সাধারণ সম্পাদক তাসমীহ বিনতে স্বর্ণা উপস্থিত ছিলেন। ঘোষণাকালে প্রার্থীদের পক্ষে সমর্থন ও প্রস্তাবক নিয়ে হট্টগোল হওয়ায় প্রধান অতিথি সহ বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্চ ত্যাগ করে চলে যান।