যক্ষ্মা সংক্রমণ বেশি থাকা দেশগুলোতে বাড়ছে নতুন ঝুঁকি।বিশ্বজুড়ে দেখা যাচ্ছে যক্ষ্মার নতুন সমস্যা। যেসব দেশে যক্ষ্মা বেশি, সেসব দেশে কোন উপসর্গ ছাড়াই বহু মানুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে রোগটি। অপরদিকে, অনেকে দেশে ঠিকভাবে শনাক্ত করা যাচ্ছেনা শিশুদের যক্ষ্মা। খবর প্রথম আলোর।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার বালিতে শুরু হওয়া যক্ষ্মা ও ফুসফুসের রোগ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্যটি ওঠে আসে। যক্ষ্মা ও ফুসফুসের রোগবিষয়ক আন্তর্জাতিক মোর্চা দ্য ইউনিয়ন ৫৫তম এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সারা বিশ্বের তিন হাজারের বেশি প্রতিনিধি এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। সরকারের চারজন প্রতিনিধি ছাড়া আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০ জন প্রতিনিধি বাংলাদেশ থেকে এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। যক্ষ্মার সংক্রমণ বেশি থাকা বিশ্বের ১০টি দেশের একটি বাংলাদেশ।
১৯২০ সালে গঠিত মোর্চা দ্য ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গে মার্কস সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, যেসব দেশে যক্ষ্মা রোগী আছে, সেসব দেশে নতুন সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এসব দেশে বহু মানুষের যক্ষ্মা হচ্ছে, কিন্তু তাদের কোনো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। এরা যক্ষ্মা ছড়ানোর বড় ঝুঁকির কারণ।
যক্ষ্মা গবেষক গে মার্কস বলেন, ‘যক্ষ্মা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে, জনসমাগম কমাতে হবে। বাড়িঘর ও প্রতিষ্ঠান খোলামেলা রাখতে হবে। প্রয়োজনে প্রত্যেক মানুষের যক্ষ্মা পরীক্ষার দিকে যেতে হবে।’