মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী মাছের রোগ নির্ণয় ও ব্যবস্থাপত্র প্রদানে ভেটেরিনারি এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্স অনুষদের নিবন্ধিত গ্র্যাজুয়েটদের আইনি বৈধতা দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১২ জুন) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ছাত্র সমিতির আয়োজনে স্লোগান, প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে বিভিন্ন বর্ষে অধ্যয়নরত মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
এর আগে ১১ জুন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদীয় / বিভাগীয় ছাত্র সমিতির আয়োজনে এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও শিক্ষকবৃন্দ । সভা শেষে সারা বাংলাদেশে একযোগে মানববন্ধনের ডাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় , হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ / বিভাগ রয়েছে একযোগে মানববন্ধন পালন করেন।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা নতুন এই নীতিমালার তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অতিদ্রুত এই নীতিমালার সংশোধন করে মাছের রোগ নির্ণয় ও ব্যবস্থাপত্র তৈরিতে ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের পরিবর্তে মাৎস্যবিজ্ঞান গ্রাজুয়েটদের স্থলাভিষিক্ত করার পাশাপাশি ফিশারিজ কাউন্সিল তৈরির জোর দাবি জানান।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ডু বলেন, ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অব এনিমেল হেলথ কর্তৃক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত রয়েছে যে, জলজপ্রাণিদের ভেটেরেনারি নিবন্ধিত গ্রাজুয়েট এবং একুয়াটিক এনিমেল হেলথ প্রফেশনাল উভয়ই রোগ নির্ণয় ও ব্যবস্থাপত্র প্রদান করতে পারবেন। অথচ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী তারা একুয়াটিক এনিমেল হেলথ প্রফেশনালদের বাদ দিয়ে শুধু ভেটেরেনারি গ্রাজুয়েটদের মাছের চিকিৎসা করার ব্যাপারে নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন। আমরা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সব শিক্ষক আমাদের শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করছি।
উল্লেখ্য,মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত নতুন প্রজ্ঞাপনের ষষ্ঠ অধ্যায়ের ২০ নং অনুচ্ছেদে উল্লিখিত নতুন নীতিমালা নিয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে।