গেল ২৭ জুলাই চা শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরী ১২০ থেকে বৃদ্ধি করে ১৩৪ টাকা করেছে মালিক পক্ষ। কিন্তু এটা শ্রমিকদের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় উল্লেখ করে গত ১লা আগস্ট চা শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিঃ নং বি-৭৭) এক সভায় শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করতে মালিকপক্ষকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেয়া হয়।
৮ আগস্টের মধ্যে এর জবাব না পেলে ৯ আগস্ট থেকে লাগাতার আন্দোলন চলবে। প্রথম ৩ দিন সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি, এর পরের ৩ দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি চলবে। এতে দাবী না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
এদিকে ২০২১-২২ সালের মজুরীর নতুন চুক্তি সম্পাদনে মালিক পক্ষে কালক্ষেপণ ও নিম্নতম মজুরী বোর্ড চা শ্রমিক বিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৭ আগস্ট) দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাজারস্থ লংলা ভ্যালী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন লংলা ভ্যালী কার্যকরি পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম।
সাধারণ সম্পাদক সঞ্জু গোস্বামীর পরিচালনায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি, নির্বাহী উপদেষ্টা রামভজন কৈরী।
অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, মাথিউরা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি সুগ্রীম গৌড়, উত্তরভাগ চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি দুলাল বাক্তি, চান্দবাগ চা বাগান পঞ্চায়েত সভপতি মানিক বাউরী, মোমিনছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি লিটন মৃধা, কালিটি চা বাগান পঞ্চায়েত সাধারণ সম্পাদক উত্তম কালোয়ার ও রাঙ্গীছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত সদস্য চান্দ্র সাগর গোয়ালা প্রমুখ।
সভায় লংলা ভ্যালীর আওতায় ৩০টি চা বাগানের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা চা শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরী ৩শ টাকা করার দাবী জানিয়ে বলেন, চা শ্রমিকদের ১২০ টাকা মজুরী খুব বেশী কিছু নয়। এই মজুরী দিয়ে একটি পরিবার চালিয়ে যাওয়া খুবই কষ্টকর। তারপর দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি। এই পরিস্থিতিতে বর্তমানে শ্রমিকরা অনেকটা হিমশিম খাচ্ছেন। বক্তারা চা শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরী ১২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩০০ টাকা করতে মালিক পক্ষের প্রতি জোর দাবী জানান।
সভায় বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি বলেন, চা শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরী ১২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩০০ টাকা করতে মালিক পক্ষকে সময়সীমা বেধে দিয়েছি। ৮ আগস্ট এই সময় শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে দাবী না মানলে তিনি ৯ আগস্ট থেকে আন্দোলনের লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।