মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানাধীন লাউয়াছড়া বনে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ। এসময় ডাকাতদের কাছ থেকে নগদ ৫৩ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন মডেলের ১৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
কমলগঞ্জ থানা এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার যৌথ অভিযানে বশির আহমেদ (৩৫), আবুল হোসেন (৩৫), কইনুল ইসলাম (২৫), সবুজ মিয়া (৫০), লোকমান মিয়া (২৮), আব্দুল মালিক (২৮) ও আরিফ মিয়াকে (২৮) সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির সময় ব্যবহৃত কয়েকটি দা, চাকু, রাম দা, করাতসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন বিজ্ঞ আদালতে ডাকাতির ঘটনায় ১৪/১৫ জনের নাম উল্লেখপূর্বক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। এই ডাকাতদল একই প্রক্রিয়ায় গত ১৩ অক্টোবর রাতে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার রশিদপুর নামক স্থানে ডাকাতি করেছে মর্মে স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ২ জনকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) সুদর্শন কুমার রায় জানান, ডাকাতির ঘটনার পর থেকেই আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য জেলা পুলিশ তৎপর ছিল। জেলা গোয়েন্দা শাখা এবং কমলগঞ্জ থানার টিম যৌথভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতদলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তাকৃত ডাকাতদের নামে বিভিন্ন থানায় চুরি, ডাকাতি ও খুনের একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ অত্র জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। আগামী দিনগুলোতেও চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধসহ চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারের ধারা অব্যাহত থাকবে।