মৌলভীবাজারে কাশিমপুর কারাগারের পলাতক আসামী গ্রেপ্তার

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার হতে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৯। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মৌলভীবাজার জেলার সদর থানাধীন এলাকা হতে আসামী ইদ্রিস মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯ সদর দপ্তর, সিলেট থেকে প্রেরিত এক প্রেসনোটের মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তারের খবর জানানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামী মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার ছাতকছড়া গ্রামের মৃত ইসমাইল মিয়ার ছেলে।

র‍্যাব-৯ জানায় , গত ০৬ আগস্ট সকালে গাজীপুরের কোণাবাড়ী থানাধীন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতরে থাকা কারাবন্দীরা বেআইনী জনতাবদ্ধে পরষ্পর যোগসাজসে মারাত্মক অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাধারণ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু করে কারাগারের ভিতরে উিটটিরত কারারক্ষীদের জিম্মি করে পালানোর চেষ্টা করে। ওই সময় কারাগারের সকল ভবনের কারাবন্দীরা কারা ভবন থেকে বের হয়ে একত্রিত হয়ে ভাংচুর, দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। উক্ত ঘটনার সময় কারাবন্দী কর্তৃক ২৫ জন কারারক্ষী গুরুতর আহত হয়। চলমান দাঙ্গা-হাঙ্গামার মধ্যে কারাভ্যন্তরে বৈদ্যুতিক পিলার ভেঙ্গে মই বানিয়ে দুপুরে কারাগারের পশ্চিম দিকের সুরক্ষা প্রাচীরের উপর দিয়ে কারাবন্দীরা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান গাজীপুর বাদী হয়ে ১৯৯ জন পলাতক কারাবন্দীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ০৪ জন কারাবন্দীদের বিরুদ্ধে কোণাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং- ০৪/১৪০, তারিখ- ১৫/০৮/২০২৪ খ্রিঃ)।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে সারা দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এরই প্রেক্ষিতে আসামীদের আইনের আওতায় আনতে র‍্যাব-৯ গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।

এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৯, সিপিসি-২, শ্রীমঙ্গল কোম্পানির একটি আভিযানিক দল ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে মৌলভীবাজার জেলার সদর থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পলাতক আসামী ইদ্রিস মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

র‌্যাব-৯ জানিয়েছে, ‘পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীকে মৌলভীবাজার জেলার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও, অন্যান্য আসামীদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’