মেসির খরা কাটানো দুর্দান্ত গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজ আর্জেন্টিনাকে যেন খানিকটা বিবর্ণই লাগছিল! এমনই সব মুহূর্তে আকাশি-সাদাদের ত্রাতা হয়ে এগিয়ে আসেন কে? লিওনেল মেসি ছাড়া আর কে আবার! সেই মেসি এগিয়ে এলেন আজও। দারুণ এক গোলে এগিয়ে দিলেন আর্জেন্টিনাকে।
অস্ট্রেলিয়া শুরু থেকেই দারুণ প্রেসে আর্জেন্টিনাকে নড়বড়েই করে রেখেছিল। লিওনেল স্ক্যালোনির দল যে নিচ থেকে খেলা গড়ে ওপরে উঠবে, সে সুযোগটাও দিচ্ছিল না অজিরা। হাইপ্রেসে নড়বড়ে করে দিচ্ছিল দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নদের।
৩৫ মিনিটে গোলের আগে একটাও লক্ষ্যে শট নিতে পারেনি আর্জেন্টিনা। বলার মতো কোনো আক্রমণও গড়তে পারেননি মেসিরা। এ থেকেই বোঝা যায়, রক্ষণ কতটা আঁটসাঁট আর্জেন্টিনাকে রুখে রেখেছিল কোচ গ্রাহাম আরনল্ডের দল।
তবে অজিদের সে প্রতিরোধ ভাঙেন মেসি। বক্সের বাঁ পাশে ফ্রি কিক পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। মেসির ফ্রি কিকটা ঠেকিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া রক্ষণ। তবে আর্জেন্টিনা বলের দখল নেয় শিগগিরই। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের বাড়ানো বলটা বক্সে পেয়ে যান নিকলাস অটামেন্ডি। মেসিকে আগে বাড়তে দেখেই বলটা ছেড়ে দেন তাকে। রক্ষণের ছোট একটা জটলা ছিল তার সামনে। দারুণ এক নিচু শটে ডিফেন্ডার হ্যারি সুটারের পায়ের তলা দিয়ে বল গলিয়ে গোলরক্ষক ম্যাথিউ রায়ানকে পরাস্ত করেন মেসি। তাতেই বিরতির ১০ মিনিট আগে অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণ ভাঙতে সক্ষম হয় আর্জেন্টিনা, এগিয়ে যায় ১-০ গোলে।
এই গোলে আর্জেন্টিনাকে তো এগিয়ে দিয়েছেনই, সঙ্গে একটা খরাও কাটিয়ে ফেললেন মেসি। বর্ণিল ক্যারিয়ারে কতশত গোল করেছেন তিনি! বিশ্বকাপেও ব্যতিক্রম নয়, সকারুদের বিপক্ষে নামার আগে তার গোল ছিল ডিয়েগো ম্যারাডোনার সমান, ৮টি। তবে তার একটিও ছিল না বিশ্বকাপের নকআউটে। নিজের পঞ্চম বিশ্বকাপে এসে সেই খরা কাটালেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি।