নিলামে উঠেছে কাতার বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির পরিহিত ৬ টি জার্সি। সে জার্সিগুলোর জন্য নিলামে ৭.৮ মিলিয়ন ডলারের ডাক এসেছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৫ কোটি টাকা।
মেসির এ জার্সি নিলামে তুলেছে নিউ ইয়র্কের ব্রোকার হাউজ ‘সো থে বি’। প্রতিষ্ঠানটির কালেক্টিবলস বিভাগের প্রধান ব্রাহম ওয়াচার জানিয়েছেন, ২০২২ বিশ্বকাপ খেলাধুলার ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা আসর। এই আসরটা মেসির সাহসী যাত্রা, ও তাকে পরিপূর্ণভাবে সর্বকালের সেরার খেতাব পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে। কাতার বিশ্বকাপে তার পরা ছয়টি জার্সি নিলামে ওঠা, নিলামের ইতিহাসেরই অন্যতম বড় এক ঘটনা। এটি মেসির ইতিহাসের স্মরণীয় একটা অংশকে নিজেদের করে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে ভক্ত ও সংগ্রহকারীদের। এই অমূল্য সম্পদগুলো সামনে তুলে ধরা, এবং নিলামের জন্য ডাকা সো থে বি-এর জন্য সম্মানের বিষয়।
সো থে বি জানিয়েছে, নিলাম থেকে পাওয়া অর্থের একটি অংশ দান করা হবে ইউনিকাসের প্রজেক্টে। লিও মেসি ফাউন্ডেশনের সহায়তায় যেটি পরিচালনা করে সান্ত জোয়ান দে ডিও বার্সেলোনা চিলড্রেনস হসপিটাল। এই প্রকল্প মূলত বিরল রোগাক্রান্ত শিশুদের নিয়ে কাজ করে।
ফুটবল ম্যাচে পরা জার্সির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে ডিয়েগো ম্যারাডোনার জার্সি। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিখ্যাত ‘হ্যান্ড অব গড’ গোল করা ম্যাচে জার্সিটি পরেছিলেন ফুটবল কিংবদন্তি। ম্যারাডোনা মারা যাওয়ার পর গত বছর নিলামে জার্সিটি বিক্রি হয় ৯২ লাখ মার্কিন ডলারে। মেসির ছয়টি জার্সিও ম্যারাডোনার জার্সির দামকে পেরিয়ে যেতে পারেনি।
আর খেলাধুলার স্মারক হিসেবে নিলামে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি জার্সিটি বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেলের জর্ডানের দখলে। ১৯৯৮ সালে শিকাগো বুলসের হয়ে এনবিএর চূড়ান্ত পর্যায়ে জর্ডানের পরা জার্সিটি ১ কোটি ১ লাখ মার্কিন ডলারে নিলামে বিক্রি হয়েছিল।