মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী বলেছেন, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি লেখাপড়ার পাশাপাশি সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। আমরা চাই শিক্ষার্থীদের সত্যিকার মানবসম্পদে পরিণত করতে।
তিনি বলেন, পিঠা-পুলি আমাদের লোকজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিরই নান্দনিক প্রকাশ। আমাদের সমাজ ও দেশের হাজারো সমস্যা সত্ত্বেও গ্রামবাংলায় এসব পিঠা-পার্বণের যে আনন্দ-উদ্দীপনা রয়েছে তা ধারাবাহিকভাবে আমাদের নিরন্তর প্রাণিত করে চলছে। সেগুলো কখনো মুছে যাবে না। পিঠা-পার্বণের এ অনাবিল আনন্দ, উচ্ছ্বাস ও ঐতিহ্য যুগ যুগ টিকে থাকুক বাংলার ঘরে ঘরে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ব্যবসা প্রশাসন বিভাগ ও মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি বিজনেস স্টুডেন্ট ফোরামের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আয়োজিত দিনব্যাপী পিঠা উৎসব ২০২৪ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি কেবল লেখাপড়া নয়; শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও মানবিক হতেও জোর দিচ্ছে।
ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর এমও রহমান চৌধুরী ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. তাহের বিল্লাল খলিফা।
সম্মানিত অতিথি ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও প্রফেসর ড. মো. ফরহাদ রাব্বি।
সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার তারেক ইসলাম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক খন্দকার মকসুদ আহমেদ, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো. ইমরান উদ্দিন, ইংরেজি বিভাগের প্রধান ড. রমা ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মাহফুজুল হাসান, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ফুয়াদ আহমেদ, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান চৌধুরী নওশাদ আহমেদ, আইন ও বিচার বিভাগের প্রধান গাজী সাইফুল হাসান, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান গোলাম মুক্তাদীর, পরিচালক (অর্থ) ইনামুল হক, আইআইকিউসির অতিরিক্ত পরিচালক দেবাশিষ রায় ও পিঠা উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক ড. ঊর্মি ঘোষ প্রমুখ।ক
এ পিঠা উৎসবে মধুপুলি, বিবিখানা, আমদশা, সন্দেশ, চন্দ্রপুলি, দুধপুলি, দুধচিতই, ফুলঝুরি, লবঙ্গ লতিকা, ক্ষীরপুলি নামের ২০টি স্টল অংশগ্রহণ করে। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এ আয়োজনকে শীতের আমেজে উপভোগ করেন। সেরা স্টলসমূহকে পুরস্কৃত করা হয়।