সিলেটের জৈন্তাপুরে মৃত্যুর ৪ মাস পর সিলেট গ্যাস ফিল্ড কর্মকর্তা মইনুল হোসেন আয়ানির মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে আদালেতের নির্দেশে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে মরদেহটি কবর থেকে তোলা হয়।
এর আগে গত ১৩ জুন রাত ১২টায় মইনুল হোসেন আয়ানি মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের সিলেট গ্যাস ৮ নম্বর কূপের সামনে দুর্ঘটনায় মারা যান। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ভেবে স্বজনরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই আয়ানির মরদেহ দাফন করেন।
পরে বিষয়টি সন্দেহ হলে নিহতের ভাই নজমুল হোসাইন (এমদাদ) বাদী হয়ে ৯ জনের নামে সিলেট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে গত ৩ অক্টোবর জৈন্তাপুর মডেল থানা মামলাটি আমলে নিয়ে রেকর্ডভুক্ত করেন। পরে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় সড়ক দুর্ঘটনা নয় বরং একটি শালিশ বৈঠককে কেন্দ্র করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মইনুল হোসেন আয়ানিকে হত্যা করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়-গত জুন মাসে উমনপুর হাইওয়ে ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন আজাদ খানের বাড়িতে লিচু চুরির ঘটনায় একটি সালিশি বৈঠকে জোরালো ভূমিকা রাখেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ১৩ জুন রাতে রাস্তায় ডিআই পিকআপ দিয়ে আয়ানির মোটরসাইকেল গতিরোধ করে লোহার পাইপ/রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামীরা সড়ক দুর্ঘটনার নাটক সাজিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর খবর পেয়ে আয়ানীর পরিবার, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ডিআই পিকআপ গাড়িটি ঐ রাতেই হরিপুর এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় প্রথমে সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিলো।