সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা হচ্ছেন আমাদের গর্বিত সম্পদ, আমরা তাদেরকে সবসময় সম্মান করি।
তিনি বলেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধা পল্লীর সকল দায় দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা পল্লীর উন্নয়ন সম্ভব, আমি ও কাউন্সিলরবৃন্দকে সাথে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পল্লীর রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।’
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সিলেট নগরীর ৩৭ নং ওয়ার্ডস্থ টিলাগাঁও মুক্তিযোদ্ধা পল্লী আবাসিক এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এর উদ্যোগে মতবিনিময় ও সম্মাননা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘বাঙালি জাতির ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় সবচেয়ে গৌরবদীপ্ত ঘটনা। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানি বর্বর সেনাদের গণহত্যার মুখে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় দেশমুক্তির সশস্ত্র সংগ্রাম। নয় মাস পর ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে পাকিস্তানি দখলদারদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় মুক্তিযুদ্ধের মহান বিজয়। বাঙালি জাতি যত দিন বেঁচে থাকবে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গৌরব করবে, অহংকার করবে।’
যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা জামাল পাশার সভাপতিত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা পল্লীর আবাসিক এলাকারবাসীন্দা আমিন উদ্দিন আমিনীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রী জগদীশ চন্দ্র দাশ, ৩৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রিয়াজ আহমদ, ৩৭, ৩৮ ও ৩৯নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ফাতিমা বেগম, ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম নজু, ৬ নং টুকের বাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও টিলারগাঁও পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান আব্দুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা হান্নান মিয়া।
অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সুজন আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আবু সাহিদ মো. সুহেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান এর কন্যাসহ এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন মো. নাসির উদ্দীন। অনুষ্ঠানের শুরুতে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও কাউন্সিলরদেরকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানান মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও মুক্তিযোদ্ধা পল্লীর আবাসিক এলাকার নেতৃবৃন্দ।