বাংলাদেশ সীমানায় মিয়ানমারের আর কোনো গোলা আসবে না বলে নিশ্চয়তা দিয়েছে দেশটি। পাশাপাশি মিয়ানমারের কোনো নাগরিকও আর বাংলাদেশে ঢুকবে না বলে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, নতুন কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এছাড়া, জাতিসংঘ অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরা হবে।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। জাতিসংঘ অধিবেশনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে কিছুটা সংঘাত হচ্ছে। এটা জানার পর থেকে আমাদের দিক থেকে যেসব ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা সেটা নিয়েছি। প্রথমত আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেব না। আমাদের বর্ডার পুলিশসহ অন্যান্য ফোর্সকে ইতিমধ্যে সতর্ক করে রেখেছি এবং তারা পুরোপুরি অ্যালার্ট।
তিনি বলেন, আমরা মিয়ানমার সরকারকে বারবার অনুরোধ করেছি, তোমাদের গোলা যেন আমাদের দিকে না আসে। আমাদের এখানে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তারা (মিয়ানমার) বক্তব্য শুনেছে। আমরা তাদের সরকারকে জানিয়েছি। শুনেছি ওখানে (মিয়ানমার) আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমার আর্মির মধ্যে সংঘাত হচ্ছে এবং এরা অনেকে বর্ডারের খুব কাছে থাকে। ফলে এদের আক্রমণ করতে গিয়ে মিয়ানমার আর্মির বুলেট আমাদের দিকে আসছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এ ব্যাপারে তাদের বলেছি, তোমরা এ ব্যাপারে সতর্ক হবে। তারা নিশ্চয়তা দিয়েছে। আমরা আশা করি, মিয়ানমার থেকে আর লোক আসবে না।
৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা এসে পড়ে। তার আগে গত ২৮ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা দুটি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল সেগুলো নিষ্ক্রিয় করে।
এই ঘটনায় ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মোকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের স্বার্থে রাখাইনে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা প্রয়োজন বলে সেটির বিষয়েও নেপিদোকে ঢাকার তরফ থেকে তাগিদ দেওয়া হয়।