বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ইস্যু নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণভাবে ভারত, নেপাল, ভুটানসহ পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশগুলোকে সাথে নিয়ে মিয়ানমার ইস্যু সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমারও আমাদের প্রতিবেশী, তাদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখে একটা সমাধান বের হবে। তবে সবসময় ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে, মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আন্তর্জাতিক মৎস্য সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী পর্যবেক্ষণ করছেন। সুতরাং এটা কোন বিবাদের বিষয় নয়, এটা সমাধানের বিষয়।
এর আগে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টায় সিলেটের একটি কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মৎস্য সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড’র সভাপতিত্বে প্রধান পৃষ্টপোষক হিসেবে বক্তব্য দেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন সিলেটের সহকারী হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জয়সওয়াল, ডিপ সি ফিশার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনাম চৌধুরী ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মেলন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এম এম মাহবুব আলম।
এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত, ডেনমার্ক, মালেয়শিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া সহ প্রায় দশটি দেশ থেকে তিনশোর বেশি গবেষক অংশ নিয়েছেন। তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে মৎস্যখাত সংক্রান্ত ১৯৩ টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেছেন তারা।
আগামীকাল রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশী ও বিদেশ থেকে আগত গবেষক ও অতিথিবৃন্দ সুনামগঞ্জের মাদার ফিশারিজ খ্যাত প্রাকৃতিক জলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করবেন।
মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও সম্মেলনের আয়োজক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড জানান, ‘তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের মাধ্যমে সারাবিশ্বে মৎস্যখাত নিয়ে চলমান গবেষণাগুলো উপস্থাপিত হয়েছে এবং পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে আগত গবেষকদের পারষ্পরিক মতবিনিময়ের সুযোগ ঘটেছে। আগামীতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মৎস্যখাতের ভূমিকা কি হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই সম্মেলনে। দেশের মৎস্যখাতকে এগিয়ে নিতে সম্মেলনে উপস্থাপিত গবেষণাগুলো থেকে কিছু পরামর্শ ও সুপারিশ সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পৌঁছানো হবে’।