সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার মুখে শুধু বড় বড় কথা বলে। কথার সাথে তাদের কাজের কোনো মিল নেই। প্রধানমন্ত্রী সিলেটে এসে বলেছেন, মানুষ না খেয়ে মরবে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ঠিক উল্টো। পানিবন্দি মানুষ খাবার পাচ্ছে না, আশ্রয়কেন্দ্রসমূহে মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে। আওয়ামী লীগকে মানুষ পাশে পাচ্ছে না। বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেদের সাধ্যমতো বানভাসি মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। বিএনপিই জনগণের দল। আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু নিয়ে উৎসব করার জন্য বন্যার বাস্তব চিত্র আড়াল করেছে। গণমাধ্যমে আসা তথ্য অনুযায়ী বন্যায় ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বানের পানিতে এ পর্যন্ত শতাধিক মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দিনভর সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যাদুর্গতদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বন্যার পনি যত নামছে মানুষের কান্না তত বাড়ছে। মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে বোবা কান্না করছে। বন্যার পানিতে বানভাসি মানুষের বাড়িঘর সব নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরে তাদের বাড়ি-ঘরের অস্তিত্বও খুঁজে পাচ্ছে না। এই মুহূর্তে দুর্গত মানুষদের দীর্ঘমেয়াদী খাদ্য সহায়তাসহ পুনর্বাসন প্রয়োজন। কিন্ত সরকার জনগণের চিন্তা না করে লুটপাটের প্রকল্প প্রণয়ন নিয়ে ব্যস্ত। তারা যদি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতো, তাহলে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকত। তাই এই বাকশালি সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করতে হবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, এই সরকার উন্নয়নের স্লোগান দিয়ে জনগণের টাকা লুটপাট করছে। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে একবার রাস্তা করছে, আবার বলছে রাস্তা কেটে দেবে। সরকার কোনো কাজই পরিকল্পনা অনুযায়ী করছে না। পরিকল্পনা অনুযায়ী করলে এখন রাস্তা কাটতে হতো না, জনগণের টাকাও নষ্ট হতো না। জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয়ের হিসাব একদিন দিতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, সিলেট জেলা বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম রব্বানী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদ, বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সিলেট জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, ব্যারিস্টার রিয়াসাদ আজিম হক, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, মাহবুব আলম, জেলা যুবদল নেতা আবুল কাশেম প্রমুখ।