হবিগঞ্জের মাধবপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যের বাড়িতে রাতের আধারে গ্রামপুলিশের উঁকিঝুঁকি দেয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে বিজিবি সদস্য ও গ্রামপুলিশের লোকজনদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। উভয়পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের বিজিবি সদস্য তাজুল ইসলামের স্ত্রীর জানালার পাশে সোমবার রাতে ২নং চৌমুহনী ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ হরিণখোলা গ্রামের মৃত আব্দুল গনি মিয়ার ছেলে আ. আউয়াল উঁকিঝুঁকি দেওয়ার সময় তাকে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের মধ্যস্থতায় ওই গ্রামপুলিশকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবি সদস্য বড়জ্বালা বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় গ্রামপুলিশের স্বজনরা বিজিবি সদস্যকে পেয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। পরে স্থানীয় লোকজন বিজিবি সদস্যকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌছে দেয়। এ ঘটনায় বিজিবি সদস্যের স্ত্রী মাধবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অপরদিকে গ্রামপুলিশ আব্দুল আউয়াল তার উপর হামলার অভিযোগ এনে বিজিবি সদস্যসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
হরিণখোলা গ্রামের আব্বাস আলী জানান, ১৫/২০ বছর পূর্বে গ্রামপুলিশ সংখ্যালঘু পরিবারের এক মহিলাকে নির্যাতন করেছিল। তখনও গ্রামপুলিশকে মার দেওয়া হয়েছিল।
হরিণখোলা গ্রামের তাজুল ইসলাম জানান, গ্রামপুলিশ আরো বেশ কয়েকটি বাড়িতে পূর্বে এমন ঘটনা করেছে।
বিজিবি সদস্যের ভাই নুরুল ইসলাম জানান, গ্রামপুলিশ প্রায় রাতের সময় তাদের ঘরের জানালার পাশে এসে দাঁড়িয়ে থাকে। তাকে বেশ কয়েকবার নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও সে রাতের বেলা এখানে এসে দাঁড়িয়ে চুপি দিচ্ছিল। তখন তাকে আটক করা হয়।
দুইপক্ষের দুটি অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনাটি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।