একঝাঁক নতুন তারকা নিয়ে প্রীতি ম্যাচের জন্য দল সাজিয়েছেন ব্রাজিলের অভ্যন্তরীণ কোচ র্যামন মেনেজেস। তবে বিশ্বকাপে খেলা দলটির প্রায় অর্ধেক ফুটবলারকে বাদ দেওয়ায় তিনি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। বিশ্বকাপে অনাকাঙ্ক্ষিত বিদায়ের দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন দলটির আগের কোচ তিতে।
দেশীয় এই সাময়িক কোচের অধীনে আগামীকাল রোববার (২৬ মার্চ) ভোর ৪টায় মাঠে নামবে ব্রাজিল। মরক্কোর বিপক্ষে এই প্রীতি ম্যাচের জন্য অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরোকে।
এর আগে ব্রাজিলের নিয়মিত অধিনায়ক ডি সিলভা চোটের কারণে দল থেকে ছিটকে যান। গত মাসে অ্যাংকেলের ইনজুরিতে পড়া চেলসির এই ডিফেন্ডারকে আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত মাঠের বাইরে থাকতে হবে। ফলে বিশ্বকাপের পর নতুন কোচ ও অধিনায়কের অধীনে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নামছে ব্রাজিল।
এর আগেও সেলেসাওদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ক্যাসেমিরো। সাম্প্রতিক সময়ে এই রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করে যাচ্ছিলেন।
প্রীতি ম্যাচকে ঘিরে ব্রাজিলের নতুন অধিনায়ক জানান, ‘আমি প্রস্তুত আছি। একইসঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য। তবে অন্য কেউ অধিনায়ক হলেও কোনো সমস্যা ছিল না। কারণ দলে ঐক্যবদ্ধ রাখতে আমার সম্পূর্ণ স্বাধীনতার রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিতের আলাদা ফিলোসফি ছিল, যাকে আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি। তবে মাঠে দলীয় প্রধান ও অভিজ্ঞ ফুটবলাররা সতীর্থ ও রেফারির সঙ্গে পারস্পরিক আলাপে বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন। এই সম্মান অবশ্য নিজ থেকেই অর্জন করে নিতে হয়।’
প্রীতি ম্যাচে নামলেও সর্বত্র আলোচনায় ব্রাজিলের সম্ভাব্য নতুন কোচ। ঘুরে-ফিরে কার্লো আনচেলত্তির নাম আসলেও দলের মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরোর দৃষ্টি শুধু বর্তমানে। তিনি বলেন, ‘আনচেলত্তিকে আমি খুব ভালো করে জানি, তাকে খুব শ্রদ্ধাও করি। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সে এখনও রিয়াল মাদ্রিদের কোচ। আর অন্তর্বর্তী হলেও এখানে মেনেজেসই এখন আমাদের দায়িত্বে। সে যদি ভালো করে আর অন্য কারো সঙ্গে ফেডারেশনের বনিবনা না হয়, তাহলে তার সুযোগ তো থাকছেই।’
ব্রাজিলের অন্তর্বর্তী কোচ মেনেজেস বলেন, ‘জীবনে সুযোগ আসবেই। আর অন্তর্বর্তী এই সময়টাকে আমি একটা সুযোগ হিসেবেই দেখছি। কঠোর পরিশ্রম আর নিজের সেরাটা দিয়ে যতটা সম্ভব উপভোগ করতে চাই।’