মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তির প্রতিবাদে সিলেট নগরীতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিভিন্ন ইসলামি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি’র জ্যেষ্ঠ দুই নেতার কটূক্তির প্রতিবাদে বুধবার (৮ জুন) বিকেলে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে আসরের নামাজের পরপরই কোর্ট পয়েন্টে ‘সিলেটের সচেতন আলেম সমাজ’র ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ কর্মসূচিতে সিলেটের আলেম-উলামাসহ সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
অপরদিকে, আসরের নামাজ শেষে নগরীর বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে থেকে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে সেটি ‘সিলেটের সচেতন আলেম সমাজ’র মানববন্ধনে এসে একাত্মতা পোষণ করে এবং কোর্ট পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামিযে ইসলামিয়া সিলেট জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে নগরীর সোবহানীঘাটস্থ হাজি নওয়াব আলী জামে মসজিদের সামনে থেকে বিকাল সাড়ে ৫টায় বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফের নওয়াব আলী জামে মসজিদের সামনে এসে শেষ হয় এবং সেখানে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে বেলা ২টার দিকে জামেয়া মাদানিয়া কাজিরবাজার মাদরাসার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মাদারাসার সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে নগরীর বন্দর, জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টা প্রদক্ষিণ করে কামরান চত্বরে এসে মিছিল শেষ হয় এবং সেখানে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ কর্মসূচিতে মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এসব কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘প্রতিটি মুসলমানের নিজের জীবনের চাইতেও প্রিয় নবী (সা.)-এর প্রতি মহব্বত রয়েছে। তাই বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে নবী মুহাম্মদ সা.-কে নিয়ে অপমানজনক বক্তব্য কোনো একজন মুসলিম সহ্য করতে পারে না। তাই ভারতে সম্প্রতি সে দেশের সরকারদলীয় দুই নেতার বক্তব্যে বিশ্বের মুসলিম ফুঁসে উঠেছে। অবিলম্বে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটবে। সেই বিস্ফোরণের দাবানলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে ভারত।’