সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা চামরদানি ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে খাস জমিতে ৩০ ধরে বসবাসকারী অন্তত ১০০ ভূমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদ চেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (০১ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রসুলপুর গ্রামবাসী মধ্যনগর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান রোকনসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যনগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ চৌধুরী, রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা রুখসানা বেগম, ময়না আক্তার, আওলাদ হোসেন।
মানববন্ধন শেষে মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
জানা যায়, প্রায় ৩০ বছর আগে দৌলতপুর মৌজার ১ নং খাস খতিয়ানের ৯০ নং দাগের ১৮ একর ভূমি টেপিরকোনা ও বলরামপুর গ্রামের কয়েকজন বন্দোবস্ত নেয়। তখন কিছু ভূমিহীন মানুষের থাকার জায়গা না থাকায় ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খসরুজ্জামান বাবলু ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে বন্দোবস্ত পাওয়া ব্যক্তিদের সাথে সমন্বয় করে ভূমিহীনদের থাকার জায়গা করে দেওয়া হয়। পরে বন্দোবস্তপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা তাদের দখল বিক্রি করে অন্যত্র চলে যায়। ফেব্রুয়ারি প্রথম দিকে রসুলপুর গ্রামের সামনে আসাদুজ্জামান রোকনের বড় ভাই বদরুজ্জামান মিলন ভ্যাকু মেশিন দিয়ে মাটি খনন শুরু করলে রসুলপুর গ্রামের ভূমিহীনরা বাঁধা দেয়। এর সপ্তাহখানেক পরে বন্দোবস্তপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সাথে ভূমিহীনদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আসাদুজ্জামান রোকন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করা হচ্ছে। আমি শুধু বন্দোবস্তপ্রাপ্তদের তাদের জায়গায় ফিরিয়ে দিতে পরামর্শ দিয়েছিলাম।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, ‘এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি সুরাহা করার জন্য এসিল্যান্ডসহ উভয়পক্ষকে নিয়ে দ্রুত বসা হবে।’